পরমাণু প্রযুক্তি এবং প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক
আন্তর্জাতিক

পরমাণু প্রযুক্তি এবং প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন-রোসাটম এক আন্তর্জাতিক ফিশিং টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। ছবি: সংগৃহীত

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ভাদিম টিটো বলেন, পারমাণবিক শক্তি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ। পরমাণু প্রযুক্তি এবং প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক। প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে চলমান একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকটবর্তী জলাধারে বসবাসকারী মাছগুলোও দূষণমূক্ত থাকে।

রোসাটমের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন-রোসাটম এক আন্তর্জাতিক ফিশিং টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।

এতে বাংলাদেশের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। এছাড়াও আকর্ষণীয় এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের দশটি দেশের ২৬ জন শৌখিন মৎস্য শিকারী।

গত সেপ্টেম্বর ৭ ও ৮ এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় ৷ টুর্নামেন্টের মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্বের নিউক্লিয়ার কম্যুনিটিভুক্ত দেশগুলোর জনগণের মধ্যে পারষ্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় করা এবং একই সঙ্গে পরিবেশের জন্য, বিশেষ করে নিকটবর্তী জলাধারের ফ্লোরা এবং ফাওনার জন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যে নিরাপদ, তা সরেজমিনে প্রদর্শন করা।

মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, রাশিয়া, আর্মেনিয়া, হাঙ্গেরি, মিশর, ভারত, কাজাখস্থান, উজবেকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরষ্ক। এসব দেশগুলোতে রোসাটম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করেছে বা করছে বা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী দলে ছিলেন দুজন মৎস্য শিকারী এবং দুজন সাংবাদিক। দুজন মৎস্য শিকারী- মো. নাসিম হাসান সুজন ও মিরাজ রহমান খান উভয়েই শৌখিন মৎস্য শিকার সংগঠন Angling in Bangladesh এর সদস্য।

ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটির বিচারে রাশিয়ার বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র লেনিনগ্রাদ এনপিপির নিকটবর্তী জলাধারে আয়োজিত টুর্নামেন্টটি প্রো-এংলার লীগ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হয়। এই ফরম্যাটটি নৌযান থেকে মৎস্য শিকারের জন্য ইউরোপীয় ঐতিহ্যের অনুরূপ।

ভারতের অরুনাভ সান্নিগ্রাহী এবং সন্তোষ যাইসোয়ার ‘বিগেস্ট সিঙ্গেল ক্যাচ’ এবং ‘টোটাল ক্যাচ’ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেন। মিশরের মৎস্য শিকারী দল এবং রাশিয়া-মিশর যৌথ মৎস্য শিকারী দল যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান লাভ করে। ভারতের আরেক জন প্রতিযোগী বিশেষ পুরষ্কার ‘বিগেস্ট ক্যাচ’ এবং উজবেকিস্তান দল বিশেষ পুরষ্কার ‘ডিটারমিনেশন টু উইন’ লাভ করেন। দু’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং রুশ জাতীয় দলের কোচ ভ্লাদিমির ইনোজেম্টসেভ প্রতিযোগিতায় মূল বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।

অংশগ্রহণকারীরা ফিনল্যান্ড উপসাগরে মাছের প্রাচুর্য এবং ডোজিমেট্রিক কন্ট্রোলের ফলে জলাধারের দূষণমুক্ততা স্বচক্ষে দেখার সুযোগ লাভ করেন। প্রতিযোগীরা মোট ২০৩টি মাছ ধরেন, যেগুলো পরবর্তীতে সাগরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

রোসাটম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট ভাদিম টিটো বলেন, “বৃহৎ আন্তর্জাতিক পরিসরে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলেও রোসাটম গত দশ বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকটবর্তী জলাধারে এ জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটি বিষয় আমরা প্রমাণ করতে চাই যে, পারমাণবিক শক্তি অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ; পরমাণু প্রযুক্তি এবং প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক। আমরা আনন্দিত, ৯টি দেশ থেকে আগত অতিথিরা স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পেলেন যে, প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে চলমান একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিকটবর্তী জলাধারে বসবাসকারী মাছগুলো কতোটা দূষণমূক্ত”।

প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে প্রতিযোগীরা সাসনোভিবোর শহরে অবস্থিত লেনিনগ্রাদ এনপিপি পরিদর্শন করেন এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক অবহিত হন। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

উল্লেখ্য, লেনিনগ্রাদ এনপিপি একটি অনন্য প্রকৌশল স্থাপনা যেখানে দুই ধরণের রিয়্যাক্টর বিদ্যমান।

এমকে

Source link

Related posts

মহামারিকালে চীনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত

News Desk

ব্রিটেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন

News Desk

Murder case at Pune: দোকানের মালকিনকে পুড়িয়ে মারতে গিয়ে মৃত সহকর্মী নিজেও, আহত এক

News Desk

Leave a Comment