রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, এটি সারা বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্তকে একটি অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া বক্তৃতায় পুতিন আরো বলেন, রাশিয়া পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক ‘আগ্রাসন’ মোকাবেলা করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এজন্য ইউরোপীয়দের জীবনযাত্রার মানকে বলি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলো খাদ্য সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এখন ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা তাদের দখলে। এ যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিপুলসংখ্যক সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে মস্কো প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে জার্মানিতে তার নর্ড স্ট্রিম ১ গ্যাস পাইপলাইনে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউরোপীয় নেতারা বলছেন, জ্বালানিকে রাশিয়া রাজনৈতিক চাপের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুতিন অর্থনৈতিক ফোরামে আরো বলেন, পশ্চিমারা তাদের ইচ্ছা অন্যান্য দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ‘অনেক পশ্চিমা কম্পানি তড়িঘড়ি রাশিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা দেখছি কীভাবে ইউরোপে একের পর এক কারখানা ও চাকরির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ’
রাশিয়াও নিষেধাজ্ঞার চাপ অনুভব করছে। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। শিল্প কারখানাগুলো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হিমশিম খাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
এমকে