পশ্চিমা বয়কটের বিরুদ্ধে একাত্ম হতে সমস্ত মুসলিম দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, পশ্চিমাদের বয়কট সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একাত্ম হওয়ার এখনই সঠিক সময়। ১২৫ কোটি মুসলমানের অনুভূতিতে আঘাত করা বন্ধ করার জন্য আমাদের ইউরোপ, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও জাতিসংঘকে বলা উচিত।
তিনি বলেন, আমি চাই, ধর্ম অবমাননার মতো ঘটনা ঘটলে মুসলিম দেশগুলো একসঙ্গে যৌথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এটি লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হবে। খবর আল আরাবিয়ার
ইমরান খান বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ইতোমধ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ নিয়ে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) এর সঙ্গে আলোচনার শুরুর পর ইমরান খানের এমন বক্তব্য এলো।
এর আগে ইমরান খান তার ভাষণে বলেছিলেন, সরকারকে কোণঠাসা করে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার জন্য নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি কার্যকর কোনো সমাধান নয়। মহানবী(সাঃ)-র কার্টুন দেখানোর অধিকারের পক্ষে ফ্রান্স যুক্তি দেওয়ার পর পাকিস্তানে কয়েক মাস আগে এই বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়। ফ্রান্সের একটি স্কুলের ক্লাসে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনার সময় এ ধরনের কার্টুন দেখানোর পর একজন শিক্ষকের শিরশ্চ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এরপর গত বছরের অক্টোবরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বাকস্বাধীনতার পক্ষে জোরালো যুক্তি দেন।
এর জেরে পাকিস্তানসহ গোটা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পাকিস্তান ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দেয়। টিএলপির নেতা সাদ হুসেইন রিজভীকে পাকিস্তান সরকার গ্রেপ্তার করার পর প্রতিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই দলটি পাকিস্তান থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছিল।
টিএলপিকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার। রিজভীর গ্রেপ্তার এবং টিএলপিকে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর দলের হাজার হাজার সমর্থক পাকিস্তানের রাস্তায় নেমে আসে এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে, এবং টিয়ার গ্যাস ও জল-কামান ব্যবহার করে। সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।