আর্থিক সংকট ও ঋণভারে জর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার এক টুইটবার্তায় দেশটির সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর প্রশংসা করতে গিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
টুইটবার্তায় ইমরান জানান, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের উন্নয়ন বিষয়ক কর্তৃপক্ষ দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটির ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন রুপি।
সেখান থেকে ভালভাবেই ফিরে এসেছে অর্থনৈতিক এই প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এর অ্যাকাউন্টে আছে ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং এই প্রতিষ্ঠানটির বাড়তি বা উদ্ধৃত অর্থের পরিমাণ ৭৩ বিলিয়ন রুপি।
টুইটে সিডিএর উচ্ছসিত প্রশংসা করে ইমরান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং আমাদের ভবন নির্মাণ পলিসি যে সফল ছিল তার সত্যতা এখন অনুভব করা যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন খাতে নতুন উদ্যমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের পরিবর্তন হচ্ছে।
দেশের অন্যান্য শহরগুলোতেও অবকাঠামোগত উন্নয়নে মনযোগ দেওয়া হবে উল্লেখ করে পৃথক এক টুইটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বড় ও জনবহুল শহরগুলো নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি মেগা শহরকে টেকসই উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে।’
গত কয়েক বছর ধরে ঋণভারে বিপাকে আছে পাকিস্তান। প্রতিবছর বেড়েই চলছে দেশটির মাথা পিছু ঋণের দায়। বর্তমানে দেশটির মাথাপিছু ঋণ পৌঁছেছে ১ লাখ ৭৫ হাজার পাকিস্তানি রুপি।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪০ দশমিক ৯৪ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানী রুপি। পরবর্তী ১৪ মাসে, অর্থাৎ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই অংক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ ট্রিলিনয়ন রুপি।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জঙ্গিবাদ, ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির মতো সমস্যায় বিব্রত পাকিস্তান সরকারকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছে দেনার এই পরিমাণ। মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশগুলো ঋণ পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে চাপ দেওয়া শুরু করেছে দেশটির সরকারকে।