পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম দূরপাল্লার দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কৌশলগত পারমাণবিক হামলা চালানোর সক্ষমতার এই সফল প্রদর্শনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশটির নেতা কিম জং–উন। খবর আল-জাজিরার।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, গতকাল বুধবার এই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। কৌশলগত পারমাণবিক হামলার জন্য কোরিয়ান পিপলস আর্মির হাতে থাকা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের যুদ্ধসক্ষমতা ও শক্তি বাড়াতে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার এটি সর্বশেষ ঘটনা। এ নিয়ে বিভক্ত কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বাড়ছে। পাঁচ বছরের মধ্যে পিয়ংইয়ং প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে—এমন আশঙ্কাও তীব্রতর হয়েছে।
কেসিএনএ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র দুটি সমুদ্রের ওপর দিয়ে দুই হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয়। ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তাদের উদ্দিষ্ট, তবে অনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ‘শত্রুদের’ জন্য আরেকটি বার্তা বলে মন্তব্য করেন কিম। তিনি বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও যুদ্ধ সংকটকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে দেশের পারমাণবিক কৌশলগত সশস্ত্র বাহিনীর আভিযানিক ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করতে হবে।
নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তবে তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার সৃষ্ট হুমকি মোকাবিলায় মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছে ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া সাতবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে সিউলের সেনাবাহিনী
এর আগে গত সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের পারমাণবিক কৌশলগত মহড়া তদারক করেছেন কিম। এ মহড়ায় জাপানের ওপর দিয়ে আন্তমহাদেশীয় পাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ নৌ-মহড়ার প্রতিবাদে ওই পরীক্ষা চালানো হয়। যৌথ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক শক্তিচালিত রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানও অংশ নিয়েছিল।