রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমা প্রতিপক্ষকে। রাশিয়ার কাছে পাল্টা হামলার জন্য প্রচুর অস্ত্র রয়েছে, যাকে তিনি রাশিয়ান ভূখণ্ডে পশ্চিমা হুমকি বলে অভিহিত করেছেন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এ হুমকি দেন।
পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়ার অনেক যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যও তিনি বাড়তি তহবিল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন। খবর: নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসির।
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা যদি হুমকির মধ্যে পড়ে, রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবরকমের ব্যবস্থা নিব। এটা কোনো ফাঁকা বুলি নয়। যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে।
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি বজায় থাকুক।
এমন সময়ে পুতিন এ ভাষণটি দিলেন, যখন মস্কো পূর্ব এবং দক্ষিণে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ওপর তার দখলকে সুসংহত করতে শুরু করেছে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় যোগদানের জন্য ইউক্রেনের মুক্ত এলাকাগুলোতে গণভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোট রাশিয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার বৈধতা দেবে। ফলে সেসব এলাকা, যার মধ্যে এমনকি ইউক্রেন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এলাকাও আছে, সেখানে যে কোনো আক্রমণকে মস্কো তাকে নিজের ওপর আক্রমণ বলে ঘোষণা করতে পারে। ফলে তারা নিজেদের রক্ষার কথা বলে এমনকি পারমাণবিক বোমা ব্যবহারেরও অজুহাত পাবে।
উপরন্তু রাশিয়ার সংসদ মঙ্গলবার একটি আইন পাস করেছে, যা রাশিয়ার ফৌজদারি কোডে মোবিলাইজেশন এবং মার্শাল ল’র ধারণাগুলো প্রবর্তন করেছে। এটি আরও জল্পনা জাগিয়েছে, পুতিন ইউক্রেনের অভিযানকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ বলে ঘোষণা করতে পারেন। ফলে পুতিন ইউক্রেনে তার পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
এনজে