পুতিনের দুই মেয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কেন?
আন্তর্জাতিক

পুতিনের দুই মেয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কেন?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরনস্তোভা ও ক্যাটারিনা তিখোনোভা। ছবি: ভোরের কাগজ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সবসময় নিজের পরিবার সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু প্রভাবশালী রাজনীতি হওয়ায় তার পরিবারের সদস্যদের নাম চাপা থাকেনি। বৃহস্পতিবার পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরনস্তোভা ও ক্যাটারিনা তিখোনোভার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, পুতিন তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন সম্পদ লুকিয়ে রাখতে পারেন। তাই তারা এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কিন্তু কেন তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো? চলুন জেনে নেয়া যাক-

পুতিনের বড় মেয়ে মারিয়া ভরনস্তোভার জন্ম ১৯৮৫ সালে। পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান এবং মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন। তিনি এখন শিক্ষাবিদ এবং দেহের হরমোন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন। ‘স্টান্টেড গ্রোথ’ নামে একজন লেখকের সঙ্গে তার একটি বই প্রকাশ হয়েছে। মস্কোর এন্ডোক্রাইনোলজি রিসার্চ সেন্টারের গবেষক তিনি। পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। মারিয়া বরনস্তোভার জীবনসঙ্গী ইয়োস্ত ফাসেন একসময় রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রমে কাজ করতেন। বেশ কয়েক বছর আগে খবর হয়েছিল তাদের বিবাহবিরচ্ছেদ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে পুতিনের ছোটমেয়ে ক্যাটারিনা তিখোনোভা একজন মেধাবী রক নৃত্যশিল্পী। বড়বোনের চেয়ে তিকানোভা জনসমক্ষে বেশি আসেন। ২০১৩ সালে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পঞ্চম স্থান নিয়েছিলেন ক্যাটারিনা তিখোনোভা এবং তার সঙ্গী। একই বছর ভ্লাদিমির পুতিনের বহুদিনের এক বন্ধুর ছেলে কিরিল শামালভকে বিয়ে করেন তিনি। তাদের বিয়ের আয়োজন হয়েছিল সেইন্ট পিটার্সবার্গের একটি বিলাসবহুল স্কি রিসোর্টে। রাশিয়ার জ্বালানি খাতে কাজের জন্য ২০১৮ সালে শামালভের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলছে, বিয়ের পর রাতারাতি তার ভাগ্য খুলে গিয়েছিল। তবে পরে এই দম্পতির বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। ইউক্রেনে হামলার পর একটি দামি বাড়ি দখলকারী দুজন অ্যাক্টিভিস্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাড়িটির মালিক শামালভ।

তিখোনোভা এখন শিক্ষা এবং ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন। ২০১৮ সালে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তাকে একবার দেখা গেছে ‘নিউরোটেকনোলজি’ নিয়ে কথা বলতে। ২০২১ সালে একটি ব্যবসায়িক ফোরামে তাকে দেখা গেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার সাবেক স্ত্রী লুডমিলা

রুশ প্রেসিডেন্টের স্ত্রী

১৯৮৩ সালে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে চাকরিকালীন লুডমিলাকে বিয়ে করেন। তবে ২০১৩ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের দুই মেয়ে মারিয়া ভরনস্তোভা ও ক্যাটারিনা তিখোনোভা। বিবাহবিচ্ছেদের সময় পুতিন বলেছিলেন, আমরা দুজনে মিলেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। আমাদের দেখা সাক্ষাৎ খুব কম হয়। আমাদের দুজনেরই আলাদা জীবন আছে। আর লুডমিলা বলেছিলেন, তিনি সবসময় কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন।

Source link

Related posts

ভারতের সাহায্য চাইলেন জেলেনস্কি

News Desk

যুদ্ধ থামাতে মস্কো সফরে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

News Desk

ইউক্রেইনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বাইডেনের নিন্দা

News Desk

Leave a Comment