ইউক্রেনে আক্রমণ করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ রাশিয়া এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে মার্কিন সরকার পুতিনের বান্ধবী বলে বিশ্বাস করে যে নারীকে, সেই অ্যালিনা কাবায়েভাকে নিষেধাজ্ঞার খড়গ থেকে রেহাই দিয়েছে।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবায়েভার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। কারণ এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য এতটাই ব্যক্তিগত আঘাত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল যে, তা রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তবে হোয়াইট বলছে, তিনি (কাবায়েভা) নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে রয়েছেন। ৬৯ বছর বয়সী পুতিন কাবায়েভার সঙ্গে সম্পর্কের কথা কখনোই স্বীকার করেননি। কিন্তু আমেরিকান কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, পুতিনের অন্তত তিন সন্তানের মা ৩৮ বছর বয়সী কাবায়েভা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলেছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তদন্তে দেখা যায়, কাবায়েভা পুতিনের প্রভাব এবং ব্যক্তিগত সম্পদের সুবিধা ভোগ করছেন। কাবায়েভা সেই সম্পদের কিছু অংশ বিদেশে লুকিয়ে রেখেছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পরপরই গত ফেব্রুয়ারিতে পুতিনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জো বাইডেন প্রশাসন। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো পুতিনের প্রাপ্তবয়স্ক দুই সন্তান মারিয়া ভোরোনৎসোভা এবং ক্যাটেরিনা তিখোনোভার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার খড়গ চালিয়েছে।
কিন্তু পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের গুঞ্জন থাকলেও অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী জিমন্যাস্ট কাবায়েভার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। রাশিয়ান কিছু সংবাদপত্র তাকে দেশের ‘সিক্রেট ফার্স্ট লেডি’ বলে অভিহিত করে।
নিউইয়র্ক পোস্ট বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে একেবারে আড়ালেই ছিলেন কাবায়েভা। তবে গত সপ্তাহে মস্কোর ভিটিবি এলাকায় জিমন্যাস্টিক ইভেন্টে দেখা যায় তাকে। আর এই ইভেন্টের নামকরণও করা হয়েছে তার নামে।
ইনস্টাগ্রামে ইভেন্টের পরিচালক সিরোতিনা বলেন, অ্যালিনা কাবায়েভা উৎসবের প্রথম মহড়ার দিন। কাবায়েভাকে একই স্থানে শেষবার জনসম্মুখে দেখা যায় গত ডিসেম্বরে আরেকটি ইভেন্টে।
চেইঞ্জ ডট ওআরজিতে খোলা একটি পিটিশন অনুযায়ী, সুইজারল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল ভিলায় সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করেছেন কাবায়েভা। সেখান থেকে তাকে বহিষ্কার করতে সুইজারল্যান্ডের প্রতি দাবি জানানো হয় ওই পিটিশনে।