ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের তৈরি করা সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ ব্যবহার করে দুবাইয়ের আলোচিত রাজকুমারী লতিফা এবং রাজকুমারী হায়ার ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিজ দেশ ও পরিবার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় তার ওপর নজরদারি হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাখতুমের মেয়ে রাজকুমারী লতিফা। প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হোসাইন দুবাই শাসকের সাবেক স্ত্রী। প্রাণ ভয়ে ২০১৯ সালে হায়া দুবাই ছেড়ে পালিয়ে যান।
পেগাসাস ব্যবহার করে আড়ি পাতার জন্য যাদের ফোন নম্বর টার্গেট করা হয়েছে তাদের মধ্যে লতিফার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজনের নম্বরও রয়েছে। ২০১৮ সালের মার্চে দ্বিতীয়বারের মতো দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন রাজকুমারী লতিফা। নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে পালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। আমিরাতের সেনারা তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
বলা হচ্ছে, ওই সময় লতিফা ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ফোনে নজরদারি করেছিল আমিরাতের কর্তৃপক্ষ। যে কারণে সব তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় পালাতে ব্যর্থ হন লতিফা।
আড়ি পাতার বিষয়টিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলছে আন্তর্জাতিক মানাবাধিকার সংস্থাঅ্যামনেস্টি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান এনএসও।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ১৭টি দেশের সংবাদমাধ্যম মিলে ‘দ্য পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে ইসরাইলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফোনে নজরদারির বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। সেই অনুসন্ধানেই উঠে এসেছে বিশ্বজুড়ে ৫০ হাজার ফোন হ্যাক করে সেগুলোতে নজরদারি চালানোর বিষয়টি।