ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পোল্যান্ডের ভেতর যে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে দুজন প্রাণ হারিয়েছেন, আর সেটি রাশিয়া নয়, বরং ড়েছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ নভেম্বর) মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিলেন ইউক্রেনের সেনারা। সেই ক্ষেপণাস্ত্রই পোল্যান্ডে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।
এদিকে, পোল্যান্ডের ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের পর বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে যায়। বিশ্ব নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অন্যান্য। এছাড়া জি-৭ জোট এবং ন্যাটোও জরুরি বৈঠকে বসার ঘোষণা দেয়।
এদিকে, পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় সরাসরি রাশিয়ার ওপর চাপিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, এ বিষয়ে আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম। আমরা এ নিয়ে বলেছি। সন্ত্রাসবাদ আর শুধু ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি ইতোমধ্যে মলদোভায় ছড়িয়েছে। আর আজ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের মানুষ নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের মানুষের সমবেদনা নেবেন আপনারা।’
অন্যদিকে, পোলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে পূর্ব দিকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পোল্যান্ডের প্রজেওডো গ্রামে আঘাত হানে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ড। চুক্তি অনুসারে, এই জোটের সদস্যরা সম্মিলিত প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই পোল্যান্ডে রাশিয়ার সামান্য হামলাও ইউক্রেন যুদ্ধের পরিধি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
তবে হামলার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া বলছিল, রাশিয়া পোল্যান্ডে হামলা করেনি। উত্তেজনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এমনটি বলা হচ্ছে।
এমকেএইচ