আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব ইউক্রেনে হামলার গতি বাড়াল রাশিয়া। ডনবাস অঞ্চলের একের পর এক গ্রাম দখল করছে রুশ বাহিনী। তাদের মূল লক্ষ্য হল, এ দেশের পূর্ব ভাগ ও দক্ষিণের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোকে ইউক্রেনের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া। আজ মস্কো জানিয়েছে, উত্তরপূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের ভেলিকা কোমিশুভাকা এবং জ়াভোডি থেকে কিভের সৈন্যবাহিনীকে উৎখাত করা হয়েছে। ডনেৎস্কের জ়ারিচনে ও নোভোতোশকিভস্কে-ও এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। এ ছাড়া, ইউক্রেনের জ়াপুরিজ়িয়ায় পশ্চিমের পাঠানো বিপুল অস্ত্রভান্ডার আজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, ইউক্রেনের বেশির ভাগ অংশের আকাশপথ এখনও কিভের হাতে ।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
যুদ্ধের গোড়াতেই রাশিয়া হুমকি দিয়েছিল, ইউক্রেনের পাশে যারা দাঁড়াবে, তাদের দাম চোকাতে হবে। আজ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। তবে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আজ কিছু ক্ষণের জন্য পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। পরে ফের তা চালু করা হয়। বুলগেরিয়ার বিষয়টি অবশ্য সাময়িক নয়। সে দেশের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা নোটিস পেয়েছিলেন ২৭ এপ্রিল থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা হবে। তাদের বক্তব্য, জ্বালানির মূল্যবাবদ অর্থ তারা চুক্তি মেনে মিটিয়ে দিয়েছিল রাশিয়াকে। তার পরেও মস্কো এই কাজ করল।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর অন্তভূর্ক্ত পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া। তাই এর জবাব ইইউ একত্রিত ভাবে দেবে। তিনি বলেন, ‘‘আরও এক বার রাশিয়া জ্বালানির বিষয়টিকে সামনে এনে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করল।’’ রুশ জ্বালানি সংস্থা ‘গ্যাজ়প্রোম’-এর জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণাটিকে ‘অযৌক্তিত’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে আক্রমণ করেছেন উরসুলা। গ্যাজ়প্রোমের অবশ্য দাবি, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া জ্বালানির মূল্য রুবেলে দিতে পারেনি বলে তাদের ওই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’–র কর্তা ফাতি বিরোল অবশ্য স্পষ্টই টুইটারে লিখেছেন, ‘‘জ্বালানিকে যুদ্ধের অস্ত্র করছে রাশিয়া।’’
আজ এই ঘটনার পরে জরুরী বৈঠকে বসে ইইউ-এর সদস্য দেশগুলি। জ্বালানির বিকল্প উৎস নিয়ে কথা চলছে। বুলগেরিয়ার শক্তি-মন্ত্রী আলেকজ়ান্ডার নিকোলোভ বলেন, ‘‘কোনও চাপের মুখেই নতি স্বীকার করব না। বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ রাশিয়ার দিক থেকে ‘হুমকি’ স্পষ্ট— দরকারে গোটা ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।