মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই মানে জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই। এটি সব মানুষের দায়িত্ব।
শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ আহ্বান জানান। এদিন রেডিও ও টেলিভিশনে মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন তিন।
খামেনি বলেন, ইহুদিবাদীরা ফিলিস্তিন দখলের প্রথম দিন থেকেই এটিকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। ইসরাইল কোনো দেশ নয়,এটি ফিলিস্তিনি জনগণ এবং অন্যান্য মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের একটি ঘাঁটি। এই জঘন্য অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই মানেই জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই। এটা সব মানুষের দায়িত্ব।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে সব মুসলিম সরকার এবং জাতির দায়িত্ব রয়েছে। তবে এই সংগ্রামের মূলে রয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভেতরে ও বাইরে তাদের সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ। তাদের ঐক্য ও অভিন্ন সংকল্প বড় সাফল্য এনে দিতে পারে। বর্তমানে ঐক্যই হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
আরব যুবকদের উদ্দেশ করে খামেনি বলেন, এখন বিজয় লাভের বিষয়ে আরও বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। শক্তির ভারসাম্যে যে পরিবর্তন এসেছে তা ব্যাপকভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে গেছে। ইহুদিবাদী শত্রুরা প্রতি বছরই ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। যে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিজেকে ‘সদা অপরাজেয়’ বলে দাবি করত সেই বাহিনী লেবাননে ৩৩ দিনের যুদ্ধ এবং গাজায় ২২ দিন ও ৮ দিনের যুদ্ধের অভিজ্ঞতার পর এখন ‘সদা পরাজিত’ বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
ইহুদিবাদীদের কবল থেকে মুসলমানদের প্রথম কেবলার শহর আল-কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করার মহান লক্ষ্যে এ দিবস পালন করার আহ্বান জানান ইমাম খোমেনী (রহ.)।
প্রতি বছর ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কুদস দিবসে ব্যাপক ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তবে চলতি বছর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে কুদস দিবসের মিছিল-সমাবেশ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।