সাত দশকের বেশি সময়ের সঙ্গী প্রিন্স ফিলিপের চিরবিদায়ের মুহূর্তে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ‘নিঃসঙ্গ’ দেখা গেছে। নভেল করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের কারণে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের সমাধিস্থলে তার আশপাশে কেউ ছিলেন না।
বিবিসি জানিয়েছে, একান্ত পারিবারিকভাবে প্রিন্সকে বিদায় দেয়া হয়। বাইরের কেউ এদিন উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও না।
জাতীয়ভাবে এক মিনিট নিরবতা পালনের পর ডিউকের সন্তানেরা কফিনের পেছনে পেছনে হাঁটতে থাকেন।
ইভেন্টে প্রায় ৭৩০ জনের মতো নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত থাকলেও সমাধিস্থলে প্রবেশের অনুমতি পান মাত্র ৩০ জন।
প্রিন্স ফিলিপ ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্স হ্যারিকে কফিনের দুই পাশে হাঁটতে দেখা যায়। সঙ্গে ছিলেন কাজিন পিটার ফিলিপিস।
৯৪ বছর বয়সী রানি হাঁটার সময় একজন নারীকে তার পাশে দেখা যায়। কিন্তু ফিলিপের শেষ বিদায়ের অন্তিম মুহূর্তে একা-একা বসে থাকেন।
ফিলিপ ব্রিটিশ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন এক স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করা রাজপরিবারের পুরুষ সদস্য। দুজনে ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে একসঙ্গে কাটালেন।
১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণের পর ২০১৭ সাল পর্যন্ত নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা প্রিন্স ফিলিপ ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। রয়্যাল মেরিনসহ ৭৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট অথবা সদস্য প্রিন্স ফিলিপ ৬৩৭ বার বিদেশ সফর করেছেন এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্তব্য দিয়েছেন।