করোনাভাইরাসের কারণে বেশ কিছু বিধি-নিষেধের কারণে প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে থাকতে পারছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যতটা সম্ভব পরিবারের সদস্যদেরই ওই শেষকৃত্যে থাকার কথা রয়েছে।
করোনা সংক্রমণের কারণে প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে খুব বেশি লোকসমাগম থাকছে না। উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে প্রিন্স ফিলিপের সন্তান, নাতি-নাতনি এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজনসহ মাত্র ৩০ জন শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন।
সাধারণ জনগণকে পুরো অনুষ্ঠান থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছে। তবে অনলাইন এবং টিভিতে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। গত শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপ মৃত্যুবরণ করেন। ৭৩ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তার স্বামী ফিলিপ। রানির আদেশেই ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে একসময় তিনি হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
আগামী শনিবার প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে স্থানীয় সময় রোববার সকালের পরে ক্যানটারবেরি ক্যাথেড্রালে তার উদ্দেশে একটি স্মরণ সেবার আয়োজন করা হয়েছে। ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র বলেন, করোনাভাইরাসের বিধি-নিষেধের কারণে ডিউক অব এডেনবার্গ প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে মাত্র ৩০ জন অংশ নিতে পারবেন।
প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে আসবেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি। তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তার চিকিৎসক তাকে এই মুহূর্তে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে বাকিংহাম প্যালেস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।