ছবি: সংগৃহীত
ফের বন্দুক হামলায় রক্তাক্ত যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মেরিল্যান্ডের এক কারখানায় বন্দুক হামলায় প্রাণ হারালেন ৩ জন। মেরিল্যান্ড প্রদেশের শেরিফ একথা জানিয়েছেন। আততায়ীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে সে আহত হওয়ার পরে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আহত হয়েছেন এক নিরাপত্তাকর্মী।
ঠিক কী কারণে গুলি চালাল ওই বন্দুকবাজ? তা এখনও জানা যায়নি। তবে ওয়াশিংটন কাউন্টির শেরিফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ওই বন্দুকবাজের গ্রেপ্তারির পরে নতুন কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছে বন্দুকবাজ। তার ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়েছেন এক নিরাপত্তারক্ষী। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
সাম্প্রতিককালে বারবার বন্দুকবাজের হামলায় আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্কুলে ঢুকে শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো থেকে রাস্তায় নিরস্ত্র জনতার দিকে তাক করে হামলা, বাদ পড়েনি কিছুই। পরপর এই ধরনের হামলার ফলে প্রশ্নের মুখে যুক্তরাষ্ট্র বন্দুক কেনার নীতি। সাবালক হলেই বন্দুক কেনার অধিকার রয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। একের পর এক এহেন হামলার ঘটনায় এবার রীতিমতো চাপ বাড়ছে বাইডেন প্রশাসনের উপর। দেশজুড়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কড়া আইন আনার জোরাল দাবি উঠছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে এই ধরনের হামলা রোখা যাচ্ছে না, তা ফের পরিষ্কার হয়ে উঠল এই হামলার ঘটনায়।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র খোঁচা দিলে পালটা বন্দুকবাজের হামলা নিয়ে তোপ দাগে নয়াদিল্লিও। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে একটি স্কুলে ভয়াবহ হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯ জন পড়ুয়ার। প্রায় ৬০০ জন পড়ুয়ার রব এলিমেন্টারি স্কুলের ওই ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। তারপরই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোট চর্চা শুরু হয় দেশজুড়ে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও তার সমর্থনে ওয়াল করেন। ওই হামলার পরে গত কয়েক দিনে আরও কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যারই সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটল বৃহস্পতিবার মেরিল্যান্ডে। এখন দেখার, বাইডেন প্রশাসন নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করে কি না।
ডি-ইভূ