ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী ২৯২ জন বিধায়কের মধ্যে ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে এখনো ঝুলছে ফৌজদারি অপরাধের মামলা। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ নামের একটি সমীক্ষা সংস্থার দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব অপরাধে এসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে খুন, খুনের চেষ্টা, নারী নির্যাতন প্রভৃতি।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসন থাকলেও নির্বাচনকালে সময়ে দুজন প্রার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ কারণে নির্বাচন হয় ২৯২ আসনে। নির্বাচনে ২৯২ আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ২১৩ ও বিজেপি জিতেছে ৭৭টি। আর অন্য দুটি আসনে জিতেছে আইএসএফ ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে এবার বাম দল ও কংগ্রেস জিততে পারেনি একটি আসনেও।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ নামের একটি সমীক্ষা সংস্থা আজ বৃহস্পতিবার এই সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ফৌজদারি মামলা ঝুলছে তৃণমূল ও বিজেপির ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে। নির্বাচনে প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিজেপির জয়ী ৭৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে ঝুলছে ফৌজদারি মামলা। এর মধ্যে আবার গুরুতর অপরাধের মামলা আছে ৩৯ জনের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ৯১ জনের বিরুদ্ধে আছে ফৌজদারি অপরাধের মামলা। এর মধ্যে আবার ৭৩ জনের বিরুদ্ধে ঝুলছে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের মামলা।
যদিও মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামায় ১৪২ জন প্রার্থী জানিয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, জয়ী মোট বিধায়কের ৪৯ শতাংশের বিরুদ্ধে এখনো আছে ফৌজদারি মামলা।
২০১৬ সালে জয়ী বিধায়কদের মধ্যে ১০৭ জনের বিরুদ্ধে ছিল ফৌজদারি মামলা। এবারের সমীক্ষা প্রতিবেদনে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ আরও বলেছে, হলফনামায় ১০ জন জয়ী বিধায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। ৩০ জনের বিরুদ্ধে ছিল খুনের চেষ্টার মামলা। আর ২০ জন হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে।