বন্যায় আসাম-মেঘালয়ে ৭৪ জনের প্রাণহানি
আন্তর্জাতিক

বন্যায় আসাম-মেঘালয়ে ৭৪ জনের প্রাণহানি

আসাম ও মেঘালয়ে বুধবার থেকে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

আসামের ২৮ জেলায় দুর্ভোগে অন্তত ১৯ লাখ মানুষ

ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের প্রধান নদীগুলোর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের মধ্যে ভূমিধস ও অন্যান্য ঘটনায় এই দুই রাজ্যে অন্তত ৭৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।

বন্যায় আসামের ২৮ জেলার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব জেলার তিন হাজার গ্রাম; জেলাগুলোর মধ্যে মধ্যে নবগঠিত বাজালি জেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক। খবর এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

বুধবার আসাম ও মেঘালয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭২ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এই দুই রাজ্যে জারি করা রেড অ্যালার্টের সময়সীমা রবিবার পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বুধবার ৮১১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের দুদিনের মধ্যেই শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৯৯৫ সালের পর থেকে জুন মাসের সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আবহাওয়া কর্মকর্তারা এ বিষয়ে জানান, বহু এলাকায় ব্রহ্মপুত্র ও গৌরঙ্গ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত দুদিনে আসামে বন্যাজনিত বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অপরদিকে, মেঘালয় রাজ্য সরকার গত দুদিনে ১৯ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আসামের বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে সতর্কতা জারি করে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিকিৎসা বা অন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে জলাবদ্ধতার কারণে টানা তিনদিন অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও নগরীর কয়েকটি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন।

টানা বৃষ্টিপাতে ডিহিং নদীর পানির উচ্চতা বাড়ার পর বুধবার বাকসা জেলার সুবনখাতা এলাকার একটি সেতু আংশিক ধসে পড়েছে। এ বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিম্ন আসামের রানগিয়া বিভাগের নালবাড়ি ও ঘোগরাপারের মধ্যবর্তী লাইন ডুবে যাওয়ায় অন্তত ছয়টি ট্রেন যাত্রা বাতিল ও চারটির আংশিক বাতিল করতে হয়েছে।

প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় ভারতের ৬ নং জাতীয় মহাসড়কের কিছু অংশ ধসে পড়েছে ও বন্যায় তলিয়ে গেছে। এ কারণে মহাসড়কটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশের যোগাযোগের একমাত্র উপায় হওয়ার ফলে এসব রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন রয়েছে এই মহাসড়ক।

ডি- এইচএ

Source link

Related posts

নজিরবিহীন সংকটে যুক্তরাজ্য

News Desk

ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী আদিবাসী নেত্রী দ্রৌপদী মুর্মু

News Desk

উইঘুর প্রসঙ্গে সমালোচনা করায় জি-৭ এর ওপর ক্ষুব্ধ চীন

News Desk

Leave a Comment