যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেনের সঙ্গে প্রথম কোনো বৈঠকের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে দেশটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তুরস্ককে কোনঠাসা করতে চায়, তাহলে দেশটি এক মূল্যবান বন্ধু হারাবে।
মঙ্গলবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সামরিক জোট ন্যাটো’র সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই দেশটির প্রতি এই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
অবশ্য গত জানুয়ারিতে জো বাইডেন ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আঙ্কারার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম থেকেই তুরস্কের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং খারাপ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে’ সরব ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবারের সাক্ষাৎকারে আঙ্কারা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘তুরস্ককে যারাই কোনঠাসা করতে চাইবে, তারা সবাই মূল্যবান একটি বন্ধু হারাবে।’
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পাননি জো বাইডেন। এমনকি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে প্রথমবারের মতো ফোন করতেও বাইডেন সময় নেন তিন মাস।
মঙ্গলবার এরদোয়ান বলেন, আমাদের চলমান উত্তেজনার কারণ কি? তথাকথিত আর্মেনিয়া গণহত্যা। তুর্কি প্রেসিডেন্টের প্রশ্ন, আর্মেনিয়া নিয়ে কথা বলা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সামনে কি আর কোনো সমস্যা নেই?
২০১৬ সাল থেকে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টির আরও কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এর মধ্যে সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতি মার্কিন সমর্থনও উল্লেখ করেছেন তিনি। কুর্দি যোদ্ধাদেরকে তুরস্ক সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রকৃতপক্ষে আমাদের মিত্র দেশই হয়ে থাকে, তাহলে তাদের কি সন্ত্রাসীদের পক্ষে থাকা উচিত না কি আমাদের পক্ষে? দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা অব্যাহত ভাবে সন্ত্রাসীদের পক্ষেই কাজ করছে।