ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সেনাদের অবস্থানকারী একটি বিমানঘাঁটি লক্ষ করে রোববার রকেট হামলা হয়েছে। গত দশদিনের মধ্যে দ্বিতীয় বার এমন হামলার ঘটনা ঘটল।
ইরাকী নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সি-র্যাম রকেট বিধ্বংসী অস্ত্র দ্বারা একটি রকেট ধ্বংস করা হয়েছে। এই ভারি অস্ত্র ও মর্টার ব্যবস্থা ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে সুরক্ষার জন্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
এই হামলার দায় তাৎক্ষনিকভাবে কোনো সংগঠন স্বীকার করেনি। হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও সেনা সূত্র জানিওয়েছে।
মার্কিন বাহিনী ও কূটনীতিকদের ওপর এ ধরণের হামলার জন্য ওয়াশিংটন নিয়মিতভাবে ইরানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ইরাকি গ্রুপগুলোকে দায়ী করে আসছে।
২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকে এখনও মার্কিন সামরিক বাহিনীর আড়াই হাজার ট্রুপ নিয়োজিত রয়েছে।
গত সপ্তাহে বাগদাদ বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে তিনটি রকেট হামলা হয়েছে। এই ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ইরাকি বাহিনী। হামলায় একজন ইরাকি সেনা আহত হন।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ইরাকে মার্কিন বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রায় ৩০টি রকেট ও বোমা হামলা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মার্কিন বাহিনী, মার্কিন রাষ্ট্রদূত, ইরাকী বাহিনীর মালামাল সরঞ্জামের গাড়িতে লক্ষ্য করে হামলা।
এসব হামলায় দু’জন বিদেশি ঠিকাদার, একজন ইরাকি ঠিকাদার ও আটজন বেসামরিক ইরাকি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়েও ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইরাকে অনেকগুলো হামলা হয়েছে।