অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধে বিতর্কিত আইন পাস করেছে সিঙ্গাপুর সরকার। সমালোচকরা বলছেন, ভিন্ন মত দমনের উদ্দেশ্যেই এ আইন পাস করা হয়েছে। আইনটির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে এবং ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের বিভিন্ন নির্দেশনা ও আদেশ দিতে পারবে। যাদের প্রতিপক্ষ মনে হবে তাদের কনটেন্ট ব্লক অথবা ব্যবহারকারীর তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে দেশটি। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
সিঙ্গাপুরের সরকার বলছে, মারাত্মক হুমকি মোকাবিলায় এ ধরনের আইন প্রয়োজন। ১০ ঘণ্টার উত্তপ্ত সংসদীয় বিতর্কের পর সোমবার আইনটি পাস করা হয়। এ আইনের মধ্যমে সিঙ্গাপুরে যারা বিদেশি সংস্থার পক্ষে অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে যায় এমন তথ্য প্রচার করবে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, পাস হওয়া আইনটি কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট, স্বাধীন গণমাধ্যম ও বিরোধী রাজনীতিবিদদের মানবাধিকারের বিপর্যয় ঘটাবে। কারণ এটির মাধ্যমে বিদেশিদের সঙ্গে জড়িত থাকার অস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যে কাউকে শাস্তি দিতে পারবে সিঙ্গাপুর সরকার।
তিনি বলেন, এ আইনের ব্যবহার করে সরকার অন্যর মতামতকে দমন করতে পারবে বিশেষ করে যা তাদের পছন্দ হবে না। আরও একবার প্রমাণ হলো জনগণের ওপর সরকারের কোনো আস্থা নেই এবং গণতন্ত্রের ওপর তাদের বিশ্বাস কতটুকু তাও বোঝা যায়।