২৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের দাবি করা বিশেষ সামরিক অভিযানে কয়েক লাখ সেনা ইউক্রেনে পাঠায় রাশিয়া। দুই মাস অবরোধের পর ২১ এপ্রিল আজভ সাগরের কাছের শহর মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। যদিও সোভিয়েত আমলের আজভস্টল স্টিল কারখানায় এখনও কিছু ইউক্রেনীয় যোদ্ধা অবস্থান করছে। শহরটিতে এটি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের শেষ প্রতিরোধ ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। রবিবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া কারখানাটিতে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
রুশ সরকারের নির্মাণ ও নগর উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা উপ-প্রধানমন্ত্রী খুসনুলিন টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, তিনি মারিউপোল ও পূর্বাঞ্চলীয় ইউক্রেনীয় শহর ভলনোভাখাসহ রুশ বাহিনীর ‘মুক্ত’ করা কিছু অঞ্চল সফর করেছেন।
তিনি লিখেছেন, অঞ্চলটিতে শান্তিপূর্ণ জীবনে ফেরা শুরু হয়েছে। অনেক কাজ বাকি। আমরা সহযোগিতা করব। নির্দিষ্টভাবে মানবিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেলিভিশন চ্যানেলের খবর অনুসারে, খুসনুলিন মারিউপোলের বাণিজ্যিক বন্দর পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বন্দর দিয়ে শহর পুনর্গঠনে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসা হবে।
সফরে তার সঙ্গে ছিলেন রুশ সমর্থিত স্বঘোষিত ডনেস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রধান ডেনিস পুশিলিন। তিনি জানান, ডনেস্ক থেকে মে মাসে বন্দরটিতে প্রথম জাহাজ নোঙর করবে।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধকে পুতিন রুশ ভাষাভাষী মানুষদের নাৎসিদের নিপীড়ন থেকে মুক্ত করা এবং ন্যাটোর সম্প্রসারণে রাশিয়ার ওপর মার্কিন হুমকি ঠেকানোর লড়াই বলে দাবি করছেন। ইউক্রেন ও পশ্চিমারা ফ্যাসিবাদের অভিযোগকে অর্থহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং তারা বলছে পুতিন উসকানি ছাড়াই আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করেছেন।