মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমেনি। সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ হাজার ৩৩৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ২ হাজার ২১০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪০৩ জন। মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত মোট ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭৭ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন মোট ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ১৫৯ জন। বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবার ওপরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৮ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার ৪৬৩ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৭ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৮৯ লাখ ১৩ হাজার ১৯১ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২ হাজার ৮১৭ জনের। আর ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯২ জন সুস্থ হয়েছেন।তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম স্থানে তুরস্ক, ষষ্ঠ স্থানে রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম আর্জেন্টিনা, নবম ইতালি এবং দশম স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩১তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৬২৬ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮২ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ইউরোপ-আমেরিকায় পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলেও তা বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিপরীতে শুরুর দিকে ভালো থাকা ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর চিত্র ক্রমান্বয়ে খারাপ হচ্ছে। তবে গত প্রায় দুই সপ্তাহে ভারতে পরিস্থিতির ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে।