ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়ার দখলদারিত্ব নিয়ে সমালোচনার মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বেলারুশ দখলে তার ‘কোনো আগ্রহ নেই’। সোমবার তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার কোনো দেশ দখল করে নেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই, এর কোনো মানে হয় না। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে বেলারুশের সঙ্গে একীভূতকরণকে আরও গভীর করার চেষ্টা করেছে ক্রেমলিন। কিন্তু দেশটির শক্তিশালী নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রধান মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একীকরণকে প্রতিরোধ করে আসছেন।
মস্কোর প্রতিবেশী বেলারুশ সাশ্রয়ে তেল আমদানি এবং ঋণের জন্য রাশিয়ার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
এদিকে ‘অভিন্ন ইতিহাস এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের মাধ্যমে একত্রিত ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং কৌশলগত অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছেন পুতিন’। তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্বহীন দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞাগুলোকে আমরা একসঙ্গে মোকাবিলা করছি এবং আমরা এটি বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ও কার্যকরভাবেই করি।’
রাশিয়া ও বেলারুশ ‘সব ক্ষেত্রে’ সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে বলেও রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন। এর মধ্যে সামরিক খাতও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া দুদেশ ‘নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যৌথ ব্যবস্থা’, অবিরত যৌথ প্রশিক্ষণ এবং ‘পারস্পরিক অস্ত্র সরবরাহ’ করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে।
পুতিন বলেন, রাশিয়া বেলারুশিয়ান ক্রুদের এমন বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে যা পারমাণবিক হেড বহন করতে পারে।
অন্যদিকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘আমরা সেই বিমানগুলো পরীক্ষা করেছি এবং এটি কারও জন্য হুমকি নয়।’
বেলারুশিয়ান নেতা রাশিয়ার সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কেরও প্রশংসা করেছেন। লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের ছাড়া কোথাও যেতে পারবে না, আমরাও রাশিয়া ছাড়া কিছুই করতে পারব না’
এ সময় তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘আমরা কি রাশিয়াকে ছাড়া আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম? না!’