ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় দুইটি স্কুলে বন্দুক হামলা চালিয়েছে এক বন্দুধারী। শুক্রবারের এ ঘটনায় অন্তত ১৬ জন হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে তিন জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এস্পিরিটো সান্তো রাজ্যের একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি স্কুলে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে।
দুইটি পিস্তল নিয়ে সরকারি স্কুলটিতে প্রবেশ করে বন্দুকধারী। সেখানে শিক্ষকদের কক্ষে যাওয়ার আগেই দুই শিক্ষককে হত্যা করে সে। এরপর একটি বেসরকারি স্কুলে গিয়ে এক ছাত্রকে হত্যা করে।
নিহত শিক্ষকদের বয়স ৪৮ ও ৪৫ বছর। নিহত ছাত্রের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এসপিরিটো সান্তোর গভর্নর রেনাটো কাসাগ্রান্ডে জানান, নিরাপত্তা বাহিনী প্রিমো বিট্টি স্কুল এবং প্রিয়া দে কোকেরাল স্কুলে গুলিবর্ষণের পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাবে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বন্দুকধারীর বয়স ছিল ১৬ বছর। হামলায় সে তার বাবার পুলিশের বন্দুক ব্যবহার করেছিল। তার একটি বাহুতে নাৎসি প্রতীক ছিল। কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং অন্তত দুই বছর ধরে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এদিকে হামলাকারীর মানসিক চিকিৎসাও চলছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনও ওষুধ ব্যবহারের কথা জানা যায়নি।
বন্দুক হামলা ও হতাহতের ঘটনাকে ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গভর্নর রেনাটো কাসাগ্রান্ডে। এ ঘটনায় তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে এ ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।