ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ষাটোর্ধ এক ব্যক্তি মারা যান। এ নিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে।
রাজ্যে এখন পর্যন্ত এই ছত্রাকে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময় তাকে স্টেরয়েড দেয়া হয়েছিল। করোনামুক্ত হওয়ার পর তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হন। তাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে এ ব্যাপারে হাসপাতালের সুপার মানব নন্দী কথা বলতে রাজি হননি বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
করোনামুক্ত হওয়ার পর মুখ অসাড় হয়ে গেছে। নাক দিয়ে পুঁজ বের হচ্ছে। গত এক মাসে কলকাতা মেডিকেলে এমন সাতজন রোগী এসেছেন। পরবর্তীতে দেখা যায়, তারা সবাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।
কলকাতা মেডিকেল ছাড়াও নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজেও এই মুহূর্তে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে একজনের চোখ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
কোভিড চিকিৎসায় অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েডের ব্যবহার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার সময় ধুলাবালির সঙ্গে মানবদেহে ঢুকে পড়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। তবে এই ছত্রাক ছোঁয়াচে নয়। একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয় না।
চিকিৎসকরা জানান, নাক বন্ধ হয়ে আসা, নাক থেকে কালো পুঁজ বের হওয়া, চোয়ালে ব্যথা, মুখের এক দিকে ব্যথা, অবশ হয়ে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের উপসর্গ। এমন উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশটির প্রতিটি হাসপাতালকে জানানো হয়েছে, কোনো রোগীর মধ্যে এমন উপসর্গ দেখা দিলে তার ব্যাপারে সব তথ্য দ্রুত পাঠাতে হবে।