ফাইল ছবি
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক টিবালাজি পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেডের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইরানের সঙ্গে জ্বালানি তেলের ব্যবসা থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), হংকং ও চীনাভিত্তিক কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানা যায়। খবর-দ্য ইকোনমিক টাইমসের।
এই প্রথম ভারতীয় কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হলো। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, কোম্পানিটি ‘চীনে অব্যাহত চালান পাঠানোর’ অংশ হিসেবে লাখো ডলার মূল্যের জ্বালানি তেল কিনেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফর শেষের পরপরই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সফরে জয়শঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন, বাণিজ্যমন্ত্রী গেইল রেইমন্ডো এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে ইরানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না, সেই নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেব প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, দুজন তাদের সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছিলেন, এর বাইরে তাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই।
তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে আসছে ভারত। দেশটির কোম্পানিগুলো ইরান থেকে জ্বালানি তেল ক্রয় থেকে বিরত রয়েছে।
টিবালাজি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের এই অভিযোগ এসেছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটে টিবালাজি নিজেকে ‘বর্ধমান পেট্রোকেমিক্যাল ট্রেডিং কোম্পানি’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। কোম্পানিটি ভারতের জন্য নয় বরং চীনের জন্য ইরানি পণ্য আমদানি করে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গোয়েন্দাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেইন নেলসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অবৈধ তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বিক্রি কঠোরভাবে সীমিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, নিষেধাজ্ঞার অধীন আটটি কোম্পানি অথবা যেসব কোম্পানিতে তাদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ মুনাফা আছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ ও মুনাফা অবশ্যই জব্দ করা হবে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) এ রিপোর্ট করা হবে।
এমকে