বর্তমান সময়ে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে বেইমানির করার মতো বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, আগে কাশ্মীর সমস্যার সঠিক সমাধান, পরে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন। রোববার পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের সঙ্গে টেলিফোন সেশনে আলাপকালে মন্তব্যটি করেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পক্ষে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া ঠিক হবে না। পাকিস্তান এমন উদ্যোগ নিলে তা কাশ্মীর অঞ্চলে নিহত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা হবে। অঞ্চলটিতে যারা এখনো নিজেদের স্বাধীনতার জন্য লড়ছেন তাদের সাথেও বেইমানি হবে।
ইমরান খান জানিয়েছেন, দ্বন্দ্বপূর্ণ অঞ্চলটিতে এখন পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি কাশ্মীরি নিহত হয়েছেন।
যদিও সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে এসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভোলকান বোজকির বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের পক্ষে আলাদাভাবে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাই দুদেশেরই ইস্যুটি নিয়ে অহেতুক কথার লড়াই বন্ধ করতে হবে। তবে ইস্যুটিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে যেন জাতিসংঘে উত্থাপন করা হয় সে বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। ফলে কাশ্মীর এতদিন যে বিশেষ অধিকার পেত, তা এর মাধ্যমে খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটিকে ভেঙে দুইটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
এর একটি হলো লাদাখ এবং অপরটি জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটির সার্বিক উন্নয়নের জন্যই ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায়, নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার।