আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কিন মসনদ দখলের পর ভারতের সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্কের ভিত মজবুত হচ্ছে জো বাইডেনের।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে ক্ষমতায় আসার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই একাধিক ইস্যুতে ভারতের দিকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়েও সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
এবার ভারতের হাতে অত্যাধুনিক মানের ৬ টি পি-এইট এল প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জো বাইডেন প্রশাসন।
শুক্রবার এই বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্পোরেশন এজেন্সির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে যে, ভারতের সুরক্ষা, শান্তি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত নজরদারির জন্য তাদের হাতে প্রায় ২.৪২ মার্কিন ডলারের অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান খুব দ্রুত তুলে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, এই যুদ্ধ বিমানগুলি ভারতের হাতে চলে এলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে। এছাড়াও এই প্রস্তাবের অন্যতম আরও একটি উদ্দেশ্য হল ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা।
এর আগে গত ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতীয় নৌ-বাহিনী মোট আটটি পি-এইটএল এয়ারক্রাফট কিনেছিল ৷ যদিও ২০১৩ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে প্রথম এই এয়ারক্রাফট আসে। এই বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও জানা গেছে, এই ৬টি যুদ্ধ বিমান ভারতের হাতে গেলে ভারতের সামরিক শক্তি আরও বাড়বে। শুধু তাই নয় এই নজরদারি বিমান দিয়ে আগামী ত্রিশ বছর ভারতীয় সেনাও এগুলো সবই ব্যবহার করতে পারবে।
অন্যদিকে, করোনা মোকাবিলায় ভারতের পাশে রয়েছে আমেরিকা। গত বুধবার রাতেই হোয়াইট হাউসের তরফে ১০০ কোটিরও বেশি মূল্যের করোনার ত্রাণ সামগ্রী ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে ভারতকে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেন তিনি।
মঙ্গলবার ফের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যা প্রয়োজন তার সবই পাঠাবে আমেরিকা। রেমডেসিভির ও অন্যান্য ড্রাগ যেগুলো এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে পারে সেগুলোও পাঠানো হবে। আমরা সেসব মেকানিক্যাল জিনিসও পাঠাচ্ছি যেগুলো ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।”
কখন ভ্যাকসিন পাঠানো হবে তা নিয়েও মোদির সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, “এখন সমস্যা হচ্ছে, আমাদের নোভাভ্যাক্স এবং অন্যান্য সম্ভবত ভ্যাকসিনগুলো আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। আমার মনে হয় যে সব দেশের দরকার তাদের সঙ্গে আমরা ভ্যাকসিনগুলো শেয়ার করতে পারবো। আমাদের প্রথম অবস্থায় ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল।” সূত্র: কলকাতা২৪