ভারতের বেঙ্গালুরুতে সম্প্রতি এক বাংলাদেশি তরুণীকে বর্বর নির্যাতন ও যৌন হয়রানির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। এসময় তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ছুরির আঘাতে আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৭টার দিকে আভালাহাল্লি এলাকার রামপুরা লেকের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের নাম সবুজ। ৩০ বছর বয়সী এ যুবকের পায়ে গুলি লেগেছে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সবুজ। তাকে প্রথমে একটি আবর্জনার স্তূপের ভেতর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর পরে প্রস্রাব করতে চান সবুজ। গাড়ি না থামালে এর ভেতরই প্রস্রাব করে দেবেন বলে হুমকি দেন তিনি।
পরে গাড়ি থেকে নামতেই পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত যুবক। এসময় দুই পুলিশ সদস্য তাকে ধরতে গেলে তাদের ছুরিকাঘাত করেন সবুজ। এতে দুজনেরই হাতে জখম হয়। এরপর সবুজের পায়ে গুলি করে তাকে ফের গ্রেফতার করেন সঙ্গে থাকা পুলিশ উপপরিদর্শক শিবারাজ।
এর আগে, বাংলাদেশি এক তরুণীকে যৌন নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গত বৃহস্পতিবার দুই নারীসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও ক্লিপ ও অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন ও অন্যান্য অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
এরপর গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টাকালে পুলিশের গুলি আহত হন দুই আসামি।
বেঙ্গালুরুর পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তদন্তের জন্য পুলিশ অভিযুক্তদের নিয়ে অপরাধস্থলে যায়। সেখানে টিকটক হৃদয় নামে পরিচিত রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ও আরও একজন পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায় এবং তারা পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
ভারতীয় পুলিশের ভাষ্যমতে, এখন পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গেছে, এরা সকলেই একই গ্রুপের সদস্য এবং বাংলাদেশ থেকে আসা। অর্থনৈতিক বিরোধের জেরে অপরাধীরা ভিকটিমের ওপর নির্যাতন চালায়। ভিকটিমও বাংলাদেশি এবং ভারতে পাচারের জন্য তাকে আনা হয়েছিল।