ছবি: সংগৃহীত
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার ধর্মীয় মতবিরোধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে রাজধানী দিল্লিতে প্রবেশের পর ঐতিহাসিক লাল কেল্লায় দেওয়া বক্তৃতায় এই অভিযোগ করেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশের মূল সমস্যাগুলো থেকে মানুষের মনোযোগ সরানোর জন্য ২৪ ঘণ্টাই হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রও শনিবার সকালের দিকে ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেন। পরে লাল কেল্লার কাছাকাছি পৌঁছালে মিছিলে যোগ দেন দেশটির জনপ্রিয় অভিনেতা কমল হাসান।’
লাল কেল্লায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার হেঁটেছি। কিন্তু কোনো ঘৃণা দেখিনি। আমি টিভি চালু করলেই সহিংসতা দেখতে পাই।
‘গণমাধ্যম আমাদের বন্ধু। কিন্তু আমরা যা বলি বাস্তবে তা কখনোই দেখায় না। কারণ পেছনের মঞ্চ থেকে আদেশ আসে…। তবে এই দেশ ঐক্যবদ্ধ। এই দেশের প্রত্যেকে মিলেমিশে থাকতে চায়।’
তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দল মাক্কাল নিধি মাইয়ামের (এমএনএম) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক অভিনেতা কমল হাসান বলেন, ‘প্রথম দিকে লোকজন আমার কাছে এসে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগদান এবং গান্ধীর সঙ্গে হাঁটাকে ভয়াবহ রাজনৈতিক ভুল হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
‘তখন আমি নিজের কাছে নিজেই জানতে চাইলাম। আমার ভেতরের কণ্ঠস্বর বলেছিল, কমল,দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে সাহায্য কর, ভাঙতে নয়। এই সময়ে আমাকে দেশের প্রয়োজন।’
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তামিলনাড়ু থেকে গত ৭ সেপ্টেম্বর ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের এই এমপি এরই মধ্যে আড়াই হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেছেন। আগামী রবিবার থেকে আট দিনের জন্য যাত্রা বিরতি ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস। পরে ৩ জানুয়ারি থেকে এই যাত্রা শুরু হয়ে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব অতিক্রম করবে। শেষ হবে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর শহরে।
এসএম