ভারতের সীমান্তের কাছে সম্প্রতি আকাশপথে মহড়া চালিয়েছে চীন। ভারতীয় সেনাদের নজরে পড়েছে চীনের বিমানবাহিনীর এই মহড়া। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে প্রায় ২০টিরও বেশি চীনা বিমান আকাশপথে যুদ্ধের মহড়া দিয়েছে।
জানা গেছে, চীনের যুদ্ধ বিমানগুলো তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই বিমানঘাঁটি থেকে অপারেশন চালিয়েছে যেখানে গত বছর তারা তাদের সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছিল। এই অঞ্চলগুলোতে অস্তিত্ব জানান দিতে ভারতের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতও উত্তর সীমান্তে রাফাল জেটস-সহ একাধিক যুদ্ধবিমান সক্রিয় রেখেছে। পূর্ব লাদাখে ভারতের যে জায়গাগুলোতে মিলিটারি এয়ারবেস রয়েছে সেগুলো হল- কাশগার, হোটন এবং নাগারি গুনসা। এছাড়া শিগাটসে, লাসা গঙ্গকার, নিয়াচি এবং চামদো পাংটাতেও রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঘাঁটি। জিনজিয়াং ও তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত সামরিক অঞ্চলে অবস্থিত ৭টি চীনা সামরিক ঘাঁটির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এর জন্য উপগ্রহ চিত্র এবং অন্য একাধিক পথ অবলম্বন করা হয়েছে। ভারতীয় সেনা সদস্যরাও তাদের বিমানঘাঁটিগুলোকে যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রেখেছে।
ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর দুই দেশ লাদাখের প্যাংগং হ্রদের দুই প্রান্ত থেকে সেনা প্রত্য়াহার করে নিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। গত মাসের শেষের দিকেই খবর পাওয়া গিয়েছিল কৈলাস রেঞ্জের নিকটবর্তী ভারতীয় অবস্থানগুলোর ওপরে নজরদারি চালাচ্ছে চীন। এ জন্য তারা একটি আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল তৈরি করেছে। কৈলাস রেঞ্জের কাছাকাছিই এটি রাখা হয়েছে। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গড় গুনসায় এটি তার প্রথম মিশনও সম্পন্ন করে ফেলেছে। বিমানটি হাইলান এভিয়েশন টিমের আওতায় রয়েছে। ভারতের গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ইউএভি-কে বাগা টাউনশিপের ৪ হাজার ৭০০ মিচার থেকে যাত্রা শুরু করানো হয়। এটি কৈলাস রেঞ্জে টহল দেয় এবং তখনই অনুসন্ধানের কাজ সম্পন্ন করে।