ক্যারিবিয়ান সাগর অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৮০০ জন। আল জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার সকালে (১৪ আগস্ট) এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২।
হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় উপাসনালয়, স্কুল এবং হোটেলও রয়েছে। ভূমিকম্পের কারণে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। ফলে তাদের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এই ভূমিকম্পকে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ বলে আখ্যায়িত করে এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং দেশবাসীকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে হাইতির সিভিল প্রটেকশন সার্ভিস জানায়, ভূমিকম্পে ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা দ্রুতই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট-অ-প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই হাইতির প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সামান্থা পাওয়ারকে হাইতিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১০ সালে দেশটির ইতিহাসে ভয়াবহতম ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।