ছবি: সংগৃহীত
করোনাভাইরাস মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধেই সারা বিশ্ব প্রভাবিত হয়েছে। কিছু দেশ নিজেদের ঋণখেলাপি, দেউলিয়াও ঘোষনা করেছে। এদিকে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও আসন্ন মন্দা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে কানাডীয়দেরও।
নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক কানাডীয় ভয় পাচ্ছেন আগামি দিনগুলোতে তারা তাদের পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত খাবারে ব্যবস্থা করতে পাড়বে কি না; খাবার ক্রয়ের জন্য তাদের কাছে অর্থ থাকবে কি না।
গত মাসে কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজের জন্য ‘ইপসোস’ পরিচালিত এক জরিপের ফলাফল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে ৫৩ শতাংশ কানাডীয় তাদের খাবার কেনার সামর্থ্য থাকবে কি না তা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন, এক মাস আগের তুলনায় যা ৯ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া অর্থনীতি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে কানাডাতে। ৮৬ শতাংশ কানাডীয় আগামী বছরের আসন্ন মন্দা নিয়ে চিন্তিত। অক্টোবরে এর হার ছিল ৮৩ শতাংশ।
প্রায় ৪৮ শতাংশ কানাডীয় ছুটির মৌসুমে তাদের সামর্থ্যের বাইরে ব্যয় করা নিয়ে চিন্তিত। ৫২ শতাংশ মনে করেন (বড়দিনের মতো ছুটিতে) তারা তাদের প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারবেন না।
৬১ শতাংশ মনে করেন সামনের দিনগুলোতে তারা হয়ত পেট্রলের খরচ মেটাতে পারবেন না। ৪২ শতাংশ মনে করেন, অর্থনীতির উন্নতি না হলে তারা চাকরি হারাতে পারেন।
ইপসোস পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শন সিম্পসন বলেন, ‘আমরা এত অল্প সময়ের মধ্যে বেশ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। কানাডীয়দের স্পষ্টতই মন্দার আশঙ্কা, সুদের হার, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। ফলস্বরূপ আমরা নাটকীয় (জরিপে) পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি।’
চলতি বছর জুন মাসে কানাডার মুদ্রাস্ফীতির হার ৮.১ শতাংশ বেড়েছে। গত ৩৯ বছরে এ হার সর্বোচ্চ। এরপর থেকে অস্বাভাবিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৭ শতাংশ রয়ে গেছে। যেখানে ২০২২ সালের আগে ৩০ বছরে দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার সবসময় ৫ শতাংশের নিচে ছিল।
এসএম