Image default
আন্তর্জাতিক

মমতার তৃণমূলে চালু হচ্ছে ‌‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে সংগঠনকে ঢেলে সাজালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। বিধানসভা জয়ের পর দলের প্রথম বৈঠকে কড়া বার্তা দিলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক, সাংসদ ও জেলা সভাপতিদের।

শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের ওয়ার্কিং কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অভিষেক ব্যানার্জিকে। এর আগে যুব তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিষেক ব্যানার্জি। তার জায়গায় এবার যুব তৃণমূলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সায়নী ঘোষকে। একইসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী হয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
তৃণমূলের প্রধান মমতা দলের বৈঠকে আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন-

১) তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হবে। অর্থাৎ জেলার সভাপতিরা আর মন্ত্রী থাকবেন না। এই নীতি মেনেই এক মাসের মধ্যে জেলা ও ব্লকস্তরে রদবদল হবে।

২) দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে দলের কোনো পদাধিকারী বা জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। জেলার বিধায়কদের কাছ থেকে দল টাকা চায় না। তাই কারও কাছ থেকে টাকা নেবেন না।

৩) তৃণমূলের কোনো জনপ্রতিনিধি এবার থেকে আর লালবাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। নিয়ম না মানলে দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিন মমতা সাংসদ, বিধায়ক ও জেলা সভাপতিদের সোশ্য়াল মিডিয়া নিয়ে সতর্ক করে দেন। তৃণমূল নেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, ‘ফেসবুক, টুইটার হ্যান্ডল আছে বলে যা খুশি লিখবেন না’। এমনকী, ফেসবুকে লাইভ করার জন্য তিরস্কার করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে।

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, কোনো অবস্থায় দুর্নীতির সঙ্গে জড়ানো চলবে না। সরকার ও দলের সমন্বয় বাড়াতে হবে। সঙ্গে মনে রাখতে হবে দল আর সরকার আলাদা অস্তিত্ব।

সূত্র : জিনিউজ

Related posts

ওয়ালমার্ট স্টোরে গুলি, নিহত ১০

News Desk

আবারও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ভারতের

News Desk

জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাসে যুক্তরাষ্ট্রের নানা পদক্ষেপ

News Desk

Leave a Comment