প্রতীকী ছবি
পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে এবার মানুষের মধ্যে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যার মাধ্যমে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রকে অনুভব করতে পারে মানুষ।
আগে ধারণা করা হতো, বিশেষ ধরনের মাছি ফ্রুট ফ্লাই, সামুদ্রিক প্রাণী স্যামন সহ অনেক প্রাণীই পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র অনুভব করতে পারে। এমনকি অনেক প্রাণী এর মাধ্যমে অনেক দূরদুরান্তেও যেতে দিক নির্ণয় করতে পারে। কিন্তু মানুষের পক্ষে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র বুঝতে পারা সম্ভব নয়। কিন্তু এই ধারণাকেই এবার চ্যালেঞ্জ করে ই-নিউরোতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের নতুন এক গবেষণায় তারা খুঁজে পেয়েছেন যে মানুষের মস্তিষ্কও পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের বিষয়ে সাড়া ও এর ব্যবহারিক প্রয়োগও আছে। অনেকেই এই পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে কোনো কম্পাস ছাড়াই দ্রুত উত্তর-দক্ষিণ নির্ধারণ করতে পারে। আর একেই তারা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় হিসেবে অভিহিত করছেন। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।
এই সংক্রান্ত গবেষণা দলের নেতা প্রফেসর জোসেফ কিরশভিঙ্ক বলেছেন, ‘আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে মানুষের চুম্বকত্ব শনাক্তের জন্য মানুষের একটি নির্দিষ্ট ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় আছে। এই সংবেদনশীল পদ্ধতি পুরোপুরি বাস্তব, কেন কিছু মানুষের অন্যান্যদের তুলনায় দিক চেনার ক্ষমতা থাকে, তা ব্যাখ্যা করতে পারে।’
গবেষণায় আমেরিকার পাশাপাশি জোসেফের সঙ্গে কাজ করেছেন জাপানের সহকর্মীরাও। গবেষণার কাজে তারা ছয় দিকে অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে আবদ্ধ বক্স ব্যবহার করে। এই বক্সগুলোর ভেতরে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র কাজ করে না। সেখানে ৩৪ জন স্বেচ্ছাসেবী পুরুষ ও নারীকে প্রবেশ করায়। পরে দেখা যায়, তাদের মধ্যে মস্তিষ্কের আলফা ব্রেইন ওয়েভ নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। জোসেফ বলেন, মূলত, চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ায় তাদের মস্তিষ্ক বিচলিত হয়ে পড়েছিলো।
ডি- এইচএ