ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারিউপোল শহরের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় রাশিয়া তার আক্রমণ জোরালো করেছে। অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিওতে কারখানাটিতে অনেকগুলো বিস্ফোরণ ঘটতে দেখা যায়।
দোনেৎস্কের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এমভিডি ডিএনআর নামে একটি মিডিয়া সংস্থা এ ভিডিওটি প্রকাশ করে। খবর: বিবিসির বাংলা
মারিউপোলের মেয়র বলেছেন, কারখানাটিতে তীব্র লড়াই চলছে এবং ভেতরে থাকা ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এর আগে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, কারখানার ভেতরে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের অবরোধ করে রাখা হয়েছে।
সম্প্রতি এই প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ১০০ বেসামরিক নাগরিককে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে ধারণা করা হয় যে এখনো এর ভেতরে ৩০টিরও বেশি শিশুসহ শত শত বেসামরিক লোক রয়ে গেছে।
ধারণা করা হয় ওই কারখানার ভেতরে এখন দুশোর মতো বেসামরিক নাগরিক আটকা পড়ে আছে।
আগামী ৯ই মে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ঘোষণা করবে – এরকম একটি জল্পনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের একজন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
পেসকভ বলেন, এমনটা হবার কোন সম্ভাবনা নেই এবং এসব জল্পনা অর্থহীন।
রাশিয়া এই দিনটিকে ১৯৪৫ সালে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। এই দিনে সাধারণত মস্কোর রেড স্কোয়ারে সামরিক প্যারেড হয়ে থাকে – যাতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভাষণ দেবার কথা।
খবরে বলা হচ্ছে- এবার রাশিয়া ওই দিনটিতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারিউপোল শহরে সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা বলছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলের রাস্তাগুলোতে যে ভাঙা ইট-পাথর, মৃতদেহ ও অবিস্ফোরিত বোমা পড়ে ছিল – সেগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে।
ইউক্রেনে চালনো এ অভিযানকে রাশিয়া যুদ্ধ বলে স্বীকার করে না। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একে একটি বিশেষ সামরিক অপারেশন বলে বর্ণনা করে থাকেন।
এই যুদ্ধে হারানো সৈন্যদের অভাব পূরণ করতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সেনা এবং রুশ নাগরিকদের যুদ্ধের জন্য পূর্ণ মাত্রায় প্রস্তুত করা হবে – এমন কথাও অস্বীকার করেন মি. পেসকভ।
এসআর