মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়া ফুল লকডাউনে ৪০ বিলিয়ন রিঙ্গিতের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তানশ্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। দেশটির সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের সহায়তায় এ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্য টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এমন ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এ প্যাকেজটিতে সরাসরি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আয়ের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি এসএমই সময়ে যারা ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা তিন মাস বা ছয় মাসের মধ্যে ৫০ শতাংশ হারে ৩০ মিলিয়ন মূল্যমানের প্রায় পাঁচ মিলিয়ন গ্রহীতা জড়িত থাকবেন বলে জানিয়েছেন মুহিউদ্দিন।
তিনি বলেছেন, পরিবারের উপর নির্ভর করে ১০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিতের মধ্যে বান্টুয়ান প্রহাতিন রাকিয়াত প্রদানে ১.২ বিলিয়ন বরাদ্দ করেছে সরকার।
ট্যাক্সি এবং বাস অপারেটরদের জন্য একটি ১ বিলিয়ন রিঙ্গিতের প্রকল্প চালু করা হবে। ট্যাক্সি, বাস এবং ই-হিলিং চালকরাও ৫০০ রিঙ্গিত করে সহায়তা পাবেন।
জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির রোল আউট বাড়াতে, মহিউদ্দিন বলেছেন, টিকা কেন্দ্রগুলিতে অসুবিধাগুলির মুখোমুখি ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য সরকারি সম্পদ যেমন বাস এবং অন্যান্য যানবাহনকে একত্রিত করা হবে।
মহামারির সূচনা থেকেই সরকারের দেয়া উদ্দীপনা প্যাকেজগুলিতে ৩০০ বিলিয়নেরও বেশি অংশ নিয়েছেন বলে ভাষণে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া চলমান লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী, মজুরি ভর্তুকি এবং অন্যদের মধ্যে ইউটিলিটি বিলের ছাড়ের মাধ্যমে সহায়তা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে সংক্রমণরোধে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলাকালীন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে দেশটির সিনিয়র মন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বলেছেন, নিতান্ত প্রয়োজনে কেউ বের হলে চলাচল ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
এক গাড়িতে সর্বোচ্চ দুজন চলতে পারবেন। বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের অনুমতি থাকবে না।
সিনিয়র মন্ত্রী জানান, লকডাউনের মধ্যে শারীরিক সংস্পর্শে না এসে খেলাধুলা ও জগিং করা যাবে। তবে তা সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে করতে হবে। করোনায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন, এমন বক্তির সন্তানদের জন্য কিন্ডারগার্টেন ও নার্সারি স্কুল খোলা থাকবে। খোলা থাকবে সুপার মার্কেট, রেস্টুরেন্টসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠান।
ফুড ও বেভারেজ, স্বাস্থ্যসেবা, পানি, বিদ্যুৎ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জরুরি সেবা, সমাজকল্যাণ ও মানবিক সহায়তাকেন্দ্র, পয়ঃনিষ্কাশন, গণপরিবহন, নৌ ও স্থলবন্দর, গণমাধ্যম, টেলিযোগাযোগ, কুরিয়ার সার্ভিস, ব্যাংক-বীমা, ই-কমার্স, তেল সরবরাহ, কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হোটেল ও আবাসন, অতি জরুরি কন্সট্রাকশন ও ডেলিভারি সার্ভিস খোলা থাকবে। অন্যান্য খাতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে, সোমবার দেশটিতে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। সোমবার ৬ হাজার ৮২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৬৭ জন।