মাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্তিতে সাকাজ শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়।ছবি: বিবিসি
ইরানে পুলিশি নির্যাতনে তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্তিতে দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজধানী তেহরান। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক কুর্দি যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
জানা যায়, মাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্তিতে তার নিজের শহর সাকাজে গত বুধবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। খবর-বিবিসির।
উত্তাল ইরানের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত আরেক নিষেধাজ্ঞা।
কুর্দি সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, শহরটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হলেও তাতে দমেনি বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষোভের মাত্রা কমার পরিবর্তে আরো বেড়ে যায়। সেদিন রাতের সহিংসতায় ইসমাইল মাওলুদি (৩৫) নামের এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। ওই যুবকের মৃত্যুর জের গড়ায় পরদিনে।
বৃহস্পতিবার ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় আজারবাইজান প্রদেশের মাহাবাদ শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কুর্দি সম্প্রদায়ের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই কুর্দি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই যুবকের মাথায় গুলি করা হয়েছিল।বিক্ষোভকারীরা মাহাবাদ শহরের একটি থানা ঘেরাও করলে শহরের একটি পাড়ায় গুলি চালান সরকারি বাহিনীর সদস্যরা।
ইরানের কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাশা আমিনি। গ্রেপ্তারের তিন দিন পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ইরানি কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ইরান সরকারের ১২ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর গত বুধবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাকেজ শহরের বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) গোয়েন্দাপ্রধান মুহাম্মদ কাজেমি এবং সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেইন মোদাররেস খিয়াবানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আইআরজিসির আরো দুই কর্মকর্তাকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মধ্যে একজন ইসফাহানের পুলিশপ্রধান। তালিকায় আছেন ইরানের সাতজন জাতীয় ও আঞ্চলিক কারা কর্মকর্তা এবং দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাও।
এমকে