ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারে মুসলিমবিদ্বেষী ও উগ্রজাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথুকে জাতীয় পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত করেছে দেশটির জান্তা সরকার। একই সঙ্গে সাত হাজারের বেশি বন্দিকেও মুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে তারা কি সবাই রাজনৈতিক বন্দি না সাধারণ কয়েদি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ব্রিটিশ ঔপনিবেশ থেকে মুক্তির ৭৫তম দিবস উপলক্ষে উইরাথুসহ আরও কয়েকশ ব্যক্তিকে সম্মানিত করেছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত ‘গণহত্যায়’ ভিক্ষু উইরাথু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুধবার (৪ জানুয়ারি) ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে মিয়ানমার। দিবসটির আগের দিন মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে এক অনুষ্ঠানে সামরিক শাসক জেনারেল মিন অং হ্লাইং উইরাথুসহ কয়েকশ ব্যক্তিকে ‘থিরি প্যানচি’ উপাধিতে ভূষিত করেন। এটি দেশটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক জাতীয় পুরস্কার। মিয়ানমারের সার্বিক কল্যাণে অসাধারণ কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ উইরাথুকে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে মুসলিমবিদ্বেষী প্রচারণা চালিয়ে আসছেন উইরাথু। বিশেষ করে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিয়ে ঘৃণামূলক প্রচারণার জন্য তিনি বেশ কুখ্যাত। ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিন উইরাথুকে নিয়ে কাভার স্টোরি করে। এতে তাকে ‘দ্য পেস অব বুডডিস্ট টেরর’ তকমা দেওয়া হয়।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর যে গণনিপীড়ন হয়, তার মাঠ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন উইরাথু। জ্বালাও-পোড়াও ও ‘গণহত্যার’ মুখে রাখাইন ত্যাগ করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অশ্রয় নেয়।
কেএইচ