মিসেস ওয়ার্ল্ড ২০২০’ এর খেতাব বর্জন করেছেন ক্যারোলিন জুরি। কয়েকদিন আগে সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’র মঞ্চে বিজয়ী পুষ্পিকা ডি সিলভার মুকুট ছিনিয়ে নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার রয়টার্স জানিয়েছে, ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’ ফাইনালের মঞ্চে বিতর্কের পর ক্যারোলিন জুরিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিন পান।
গত মঙ্গলবার ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’র আয়োজক কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তিনি (ক্যারোলিন জুরি) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এটি ক্যারোলিনের নিজের সিদ্ধান্ত।’ সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যারোলিন জুরি খেতাব বর্জন করায় আয়ারল্যান্ডের কেট স্নাইডার, যিনি ২০২০ সালে রানার আপ হয়েছিলেন তিনিই এখন ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড ২০২০’র খেতাব পাবেন। তাত্ক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য জুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’র ফাইনালে পুষ্পিকা ডি সিলভাকে ২০২১ সালের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এর কয়েক মুহূর্ত পর ক্যারোলিন জুরি তার মুকুটটি ছিনিয়ে নেন। সেদিন ক্যারোলিন জুরি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই বিয়ে হয়েছে এবং বিচ্ছেদ হয়েছে এমন নারীরা নিয়ম অনুযায়ী এ খেতাব পেতে পারেন না। তাই আমি দ্বিতীয়স্থান অধিকারীকে মুকুটটি দিয়ে দিচ্ছি।’
এ ঘটনার পর আয়োজকরা নিশ্চিত হন যে, ডি সিলভার ডিভোর্স হয়নি। তিনি আলাদা হয়ে গেছেন, কিন্তু ডিভোর্স হয়নি। আয়োজকরা তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তাকে একদিনের মধ্যেই বিজয়ীর খেতাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যারোলিন জুরির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন পুষ্পিকা ডি সিলভা। গ্রেপ্তারের পর জুরির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’র আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে যা হয়েছে সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে শ্রীলঙ্কার আয়োজকরা পর্যালোচনা করবে। এ ঘটনার কারণে ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড ২০২১’ প্রতিযোগিতা, যেটি শ্রীলংকায় আয়োজিত হওয়ার কথা তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিতর্কের পর অবশেষে ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’ বিজয়ী পুষ্পিকা ডি সিলভা।
ক্যারোলিন জুরি ২০১৯ সালে ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’ মুকুট জিতে লাস ভেগাসে ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি ‘মিসেস ওয়ার্ল্ড’ মুকুট জেতেন।