রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের নয়, এই দায়িত্ব জাতিসংঘেরও উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি বলেছেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, তা প্রশংসনীয়। এই সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় কাজ করে যাবে। আর এই ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর জো বাইডেন প্রশাসন চাপ অব্যাহত রেখেছে।
আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতেই তার এই সফর। সর্বপ্রাণের বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে বাইডেন প্রশাসন এরইমধ্যে প্যারিস চুক্তিতে ফিরে এসেছে। ভবিষ্যতের পৃথিবীর কথা ভেবে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আর এই প্রক্রিয়ায় সকলের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো সকলে মিলে সবুজ পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তা মোকাবিলা নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিয়েছে।
এর আগে সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন জন কেরি। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে জন কেরি বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি খুব সদয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ।
শুক্রবার সকালে দিল্লি থেকে বিশেষ প্লেনে করে ঢাকায় আসেন জন কেরি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।