আর্মি ক্যাপ্টেনের এক সহযোগীকে হত্যার অভিযোগে মিয়ানমারে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশন মায়োয়াড্ডি টিভি শুক্রবার জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর প্রকাশ্যে প্রথম এমন সাজা দেয়া হল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ মার্চ ইয়াঙ্গুনের উত্তর ওক্কালপা জেলায় ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় তাদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন। ভুক্তভোগী পরিবার বা স্থানীয়রা নিহত সবার মরদেহ সংগ্রহ করতে পারেনি। মরদেহগুলো বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে জান্তা বাহিনী বন্দুকের পাশাপাশি মেশিনগানের গুলি, গ্রেনেড এবং মর্টার ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমাদের এলাকার লোকজন জানত ওরা আসবে এবং এর জন্য রাতভর অপেক্ষা করছিল। সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিনগান থেকে প্রচুর গুলি করা হয়েছে।’ সপ্তাহখানেক আগে দেশটির প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি সেনা-বিরোধী বিক্ষোভে দেশের গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেয়ার পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় ৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
সেনা-পুলিশের গুলি বর্ষণের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।