হাফিজ সাঈদ
মুম্বাই হামলার মূলহোতা লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সাঈদকে দু’টি মামলায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। এছাড়া তার যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও সঙ্গে তিন লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়া হয়। একইসঙ্গে আদালতের রায়ে হাফিজ যে মাদ্রাসা এবং মসজিদ নির্মাণ করেছেন তাও দখল নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে একাধিকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালে হাফিজকে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া সংক্রান্ত একটি আর্থিক মামলায় সন্ত্রাসবাদবিরোধী আদালত ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে তার এই বন্দিদশা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে। গৃহবন্দি থাকা অবস্থাতেও তিনি বছরের পর বছর অবাধে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তৃতা করে বেড়িয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঠিক আগে ২০১৯ সালে হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে লেখেন ১০ বছর ধরে তল্লাশির পর সাঈদকে আটক করা হয়েছে।
২০০১ সাল থেকে আটবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে এবং ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক সাজিয়েছিলেন হাফিজ। ওই হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১৬৬ জনের।
এই মামলায় ২০১৭ সালে, হাফিজ এবং তার চার সহযোগীকে আটক করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পঞ্জাবের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা বোর্ড তাদের বন্দিদশার মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করলে প্রায় ১১ মাস পরে মুক্তি পান তারা।
ডি-ইভূ