ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, ফেনী নদীর ওপর নির্মিত ‘মৈত্রী সেতু’র ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ত্রিপুরার ব্যবসায়ীদের চট্টগ্রাম ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহারে সুবিধা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয় ভারতের রাষ্ট্রপতিকে। সেখানে এ কথা বলেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগণের সম্পর্ক নিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, এটা বলা যেতে পারে যে শুরু থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব জোরদারে ত্রিপুরার একটি মুখ্য ভূমিকা রয়েছে।
ত্রিপুরা একটি শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে অগ্রসর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, এই রাজ্যে উচ্চ ও পেশাগত শিক্ষার অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে শুধু উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শিক্ষার্থীরাই পড়ালেখা করছেন না, বরং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল ও বিদেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা আসছেন।
এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি আগরতলায় অ্যালবার্ট এক্কা ওয়্যার মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ত্রিপুরা সফরকালে দ্রৌপদী মুর্মু ত্রিপুরা স্টেট জুডিশিয়াল একাডেমিসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। এ ছাড়া আগরতলার নরসিংগড়ে ত্রিপুরা ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি।
অপর এক অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভার্চ্যুয়ালি আগরতলার ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সে এমএলএ হোস্টেলের উদ্বোধন করেন এবং মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার আইআইআইটি-আগরতলা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আগরতলার রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী ভবন থেকে ত্রিপুরা সরকারের সড়ক, স্কুল ও শিক্ষার্থীদের হোস্টেল–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পও উদ্বোধন করেন দ্রৌপদী মুর্মু। রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী ভবনে তিনি বলেন, আজ যে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করা হলো, তা শুধু ত্রিপুরার যোগাযোগ, শিক্ষা, বিচারকাজ ও আইন পরিষদকে জোরদারই করবে না, বরং এ রাজ্যের সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।