প্রতীকী ছবি
রাশিয়া বার্তা দিয়েছে, ‘নিউ স্টার্ট’ নামে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রগুলো সাইটে গিয়ে দেখার যে সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের ছিল- ‘সাময়িকভাবে’ বন্ধ করে দেয়া হবে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই চুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে চাইছে, কিন্তু আমেরিকান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পরমাণু অস্ত্র আছে সেগুলো পরিদর্শনের অধিকার থেকে রাশিয়াকে বঞ্চিত করেছে। তারা বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আমেরিকা রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা দুই দেশের মধ্যকার পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। খবর বিবিসির।
এই চুক্তি ২০১১ সালে কার্যকর হয়েছিল।
শীতল যুদ্ধকালীন দুই প্রতিপক্ষ দেশের মধ্যে যেসব অস্ত্র হ্রাস চুক্তি ছিল- সেগুলোর মধ্যে এটিই ছিল শেষ চুক্তি যেটি এখনও বলবৎ ছিল। এতে বলা হয়েছিল এই দুটি দেশ অস্ত্রের মুখে বসানোর জন্য সর্বোচ্চ ১,৫৫০টি দূর পাল্লার পারমাণবিক বোমা রাখতে পারবে। রুশ মন্ত্রণালয় বলছে, চুক্তিতে “বিশেষ পরিস্থিতি” উল্লেখ করে যে শর্ত রাখা হয়েছিল সেটা ব্যবহার করেই এই চুক্তি তারা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
পারমাণবিক অস্ত্র
রাশিয়া এই ঘোষণা করার এক সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নতুন একটি পরমাণু অস্ত্র চুক্তি সম্পাদনের কাজ করতে তিনি তৈরি আছেন। বর্তমান চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হয়ে যাবে। রুশ মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বর্তমান বাস্তবতাকে’ অগ্রাহ্য করার অভিযোগ করেছে। বর্তমান বাস্তবতা প্রসঙ্গে রাশিয়া বলেছে দু দেশের মধ্যে ‘স্বাভাবিক বিমান যোগাযোগ স্থগিত করা হয়েছে’।
পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে অস্ত্র হ্রাস করা নিয়ে বহু বছর ধরে আলোচনা চলার পর এই ‘নিউ স্টার্ট’’ অস্ত্র চু্ক্তি হয়।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চুক্তির কি আসলেই ‘নতুন অধ্যায়’?
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর রাশিয়া আর আমেরিকা দুই দেশই বৈরী কথাবার্তা শুরু করেছে। এমনকি এমন হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে যে এই সংঘাত থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও শুরু হয়ে যেতে পারে।
রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে কোনো কোনো ভাষ্যকার ন্যাটোর সঙ্গে বর্তমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মস্কোর বিশাল পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে এমন মন্তব্য করেছেন।
ডি- এইচএ