ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র শীতকালীন ঝড়ে নাকাল হয়ে পড়েছে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবারও সাত লক্ষাধিক মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগবিচ্ছিন্ন ছিলো বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
তাপমাত্রাজনিত সড়ক দুর্ঘটনায় এরই মধ্যে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, দেশটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার ফ্লাইটও বাতিল হচ্ছে। এ অবস্থায় হু হু করে নামতে থাকা তাপমাত্রায় ঘর উষ্ণ রাখার চাহিদা বাড়ছে; এর সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রেই বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থার ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়েছে। খবর বিবিসি, সিএনএন ও দ্য গার্ডিয়ানের।
শনিবার সকালেও দেশটির ১৮ লাখ ঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ সংযোগবিচ্ছিন্ন ছিলো। পরে ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে থাকে। দেশটির একাধিক বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাই ভোক্তাদেরকে বড়সড় গৃহস্থালি যন্ত্র না চালিয়ে ও অপ্রয়োজনীয় বাতি বন্ধ করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের অনুরোধ জানিয়েছে।
শনিবার বিকালে ডিউক এনার্জি জানায়, তারা নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনাজুড়ে একেক জায়গায় একেক সময়ে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার সকাল থেকে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় এখন তা আর করা লাগছে না।
ঝড়ের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বছরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় বড়দিনের প্রাক্কালে লাখ লাখ মার্কিনির ছুটি কাটানোর পরিকল্পনাও মাঠে মারা যেতে বসেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং করা ফ্লাইটঅ্যাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, শনিবারও দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে দুই হাজার সাত শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে; নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়েছে ছয় হাজার চারশতাধিক ফ্লাইট।
শুক্রবার বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল পাঁচ সহস্রাধিক।
ডি- এইচএ