পুতিনের সঙ্গে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে এই ক্যানসার বিশেষজ্ঞকে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া
সম্প্রতি পুতিনের বিবর্ণ চেহারা এবং দৃশ্যত শারীরিক ভাবে দুর্বল অবস্থা সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে। যদিও অনেকের দাবি, যুদ্ধের চাপেই এই অবস্থা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কি থাইরয়েড ক্যানসার বা পারকিনসন্স রোগে ভুগছেন? এই দাবি করা হয়েছে যে রিপোর্টে, তাকে উদ্ধৃত করে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ব্রিটেনের একটি সংবাদমাধ্যম। তবে ক্রেমলিনের তরফে সরকারি ভাবে এমন কোনও সংবাদ স্বীকার করা হয়নি। যদিও সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিবর্ণ চেহারা এবং দৃশ্যত শারীরিক ভাবে দুর্বল অবস্থা সেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর কথা ঘোষণা করেন পুতিন। যা পুরোদস্তুর যুদ্ধই। প্রশ্ন হল, কেন পুতিন এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন? রুশ প্রেসিডেন্টের ক্রমেই ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য এবং বিবর্ণ চেহারা দেখে ইদানীং এক নতুন জল্পনা দানা বেঁধেছে। একটি অংশ মনে করছেন, গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তাই তড়িঘড়ি এমন সিদ্ধান্ত।
নতুন রিপোর্ট বলছে, রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় সব সময় থাকছেন এক জন থাইরয়েড ক্যানসার বিশেষজ্ঞ। রাশিয়ায় অধুনা নিষিদ্ধ একটি সংবাদমাধ্যম-যারা অন্তর্তদন্তমূলক খবরই প্রকাশ করে— দাবি করেছে, মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতালের থাইরয়েড ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ইয়েভজেনি সেলিভানোভ সম্প্রতি অন্তত ৩৫ বার উড়ে গিয়েছেন কৃষ্ণসাগরের তীরে সোচি শহরে। ঘটনাচক্রে সেখানেই আছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তবে এই প্রথম নয়, ২০২০-র নভেম্বরেও এক বার পুতিনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ভ্যালেরি সোলোভেই সেই সময়ে দাবি করেছিলেন, পুতিন সম্ভবত ক্যানসার বা পারকিনসন্সে ভুগছেন। এবং তাঁর একটি জরুরি অস্ত্রোপচারেরও কথা চলছে। এ বার যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ফের এক বার তৈরি হল পুতিনের ভগ্ন স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা।
পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ দাবি করছে, এত দিন দেশ চালানোর পর পুতিন সহসা ইউক্রেন আক্রমণের মতো এমন ‘আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’ নিলেন, তার একমাত্র কারণ তাঁর ভগ্নস্বাস্থ্য। তিনি শরীরের পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়েছেন, তারই ফলশ্রুতি তড়িঘড়ি এমন ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণা। এমনটাই দাবি পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের একাংশের। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এসএইচ