Image default
আন্তর্জাতিক

রদবদলের সম্ভাবনা, মন্ত্রিত্ব পেতে মোদি সরকারের ওপর চাপ শরিকদের

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল ও সম্প্রসারণ করা হবে বলে সকাল থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সুশীল মোদির মতো নেতারা শিকে ছেড়ার অপেক্ষাতেও ছিলেন। কিন্তু দিন শেষে সব জল্পনায় পানি ঢেলে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানান, মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে- এমন তথ্য জানা নেই তার।

তবে ক্ষমতাসীন বিজেপি সূত্র দাবি করে, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ওই রাজ্যে ও কেন্দ্রে চলতি জুনের মধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। এই সুযোগে মন্ত্রিত্ব পেতে মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে শরিক দলগুলো।

কৃষক আন্দোলন, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে হার- সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে মোদি সরকার। শিরোমণি অকালি দল, শিবসেনা আগেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে গেছে। এই মুহূর্তে সরকারের বড় শরিক নীতীশ কুমারের জেডিইউ মন্ত্রিসভার অন্তত দুটি আসনের জন্য চাপ বৃদ্ধি করেছে। ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদির শপথের সময় জেডিইউ থেকে একজনকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নীতীশ। এ যাত্রায় আরসিপি সিংহ ও রাজীবরঞ্জন যাদবের জন্য মন্ত্রিসভায় দুটি জায়গা চেয়ে অনড় দলটি। বিহারের এলজেপি বিধানসভা ভোটে এনডিএ’র বিরুদ্ধে লড়লেও কেন্দ্রে বিজেপির শরিক। রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে, এলজেপি নেতা চিরাগ বাবার মৃত্যুর পর থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ দাবি করে বসে রয়েছেন। তাকে মন্ত্রী করার প্রশ্নে শুরু থেকেই আপত্তি জেডিইউয়ের। ফলে দু’পক্ষকে সন্তুষ্ট করে সমাধান বের করা বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির।

বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশের ভোট। এই রাজ্যে মন্ত্রিসভায় রদবদলের প্রশ্নে এখনও যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে ঐকমত্যে আসতে পারেননি মোদি-অমিত শাহরা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চায় উত্তরপ্রদেশের এনডিএ শরিক আপনা দল, নিষাদ পার্টি। আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল গতবার মোদির মন্ত্রী ছিলেন। এবার মন্ত্রিত্ব পাননি তিনি। গত সপ্তাহেই মন্ত্রিসভায় একটি আসনের দাবি জানিয়ে অমিত শাহের কাছে এসেছিলেন অনুপ্রিয়া। একই দাবি করেছেন নিষাদ পার্টির সাংসদ প্রবীণকুমার নিষাদ। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানেন, মন্ত্রিসভায় এদের জায়গা না দিলে উত্তরপ্রদেশের জোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। মন্ত্রিত্ব না পেলে আলাদা ভোটে লড়বে বলে দুই দলই প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রেখেছে।

অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বিহারের সুশীল মোদিরাও। আসামের সদ্য সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকেও মন্ত্রী করার আশ্বাস দিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে এখন শরিকি চাপের সঙ্গে দলের সাংসদদের আকাঙ্ক্ষার কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে মোদিকে।

Related posts

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ১১, নিখোঁজ ১২

News Desk

কৃষ্ণসাগরে শস্য রপ্তানির চুক্তি করবে না রাশিয়া

News Desk

মরক্কোর কাছে হারের পর বেলজিয়ামে দাঙ্গা

News Desk

Leave a Comment