রাশিয়া থেকে ৭ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আনার জন্য মরিয়া হয়ে জাহাজ খুঁজছে ভারতের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কর্পোরেশন (ওএনজিসি)।
রয়টার্স জানিয়েছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে মস্কোর অন্যতম বড় অংশীদারদের সাথে তাদের বাণিজ্য ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জাহাজ পেতে সমস্যা হচ্ছে।
ওএনজিসি’সহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানি রাশিয়ান তেল এবং গ্যাস কেনার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এবং মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে ভারত আরও বেশি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কিনছে, এর অন্যতম একটি কারণ হলো, ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে এসব তেল বিক্রিতে রাশিয়া ব্যাপক ছাড় দিয়েছে।
রাশিয়ার ‘সোকল’ গ্রেডের অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সাখালিন ১ প্রকল্পে ওএনজিসি’র ২০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা ওএনজিসি দরপত্রের মাধ্যমে রপ্তানি করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তর এশীয় ক্রেতারাই সোকল তেল কিনে থাকে এবং এই তেল লোড করা হয় সাউথ কোরিয়া থেকে।
মস্কোর এই গ্রেডের শিপিং করার জন্য বরফ ভেঙ্গে যেতে পারে এমন বরফ-শ্রেণির জাহাজের প্রয়োজন হয়। রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যে জড়ালে সুনাম নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এবং রাশিয়ান সম্পদের জন্য বীমা কভারেজ পেতে ক্রমবর্ধমান অসুবিধার কারণে জাহাজের মালিকগুলোর কাছে তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণত সোকল তেলের কার্গোগুলো প্রথমে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের ডি-কাস্ত্রি টার্মিনাল থেকে সাউথ কোরিয়ায় জাহাজে করে পাঠানো হয়, এই জাহাজগুলো এমনভাবে তৈরি যা বরফ কাটিয়ে আগাতে সক্ষম। সেখান থেকে সেগুলোকে পুনরায় একটি গতানুগতিক ট্যাঙ্কারে লোড করা হয়।
ভারতীয় রিফাইনাররা খুব কমই সোকল গ্রেডের তেল কিনে থাকেন কারণ তাদের জটিল লজিস্টিক পদ্ধতি অপরিশোধিত তেলকে বেশ ব্যয়বহুল করে তোলে। এছাড়া বৈশ্বিক বাণিজ্য বহরে খুব সীমিত সংখ্যক বরফ-শ্রেণির জাহাজ রয়েছে যেগুলো বরফ কাটিয়ে যেকনো সময়েই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
ওএনজিসি সাউথ কোরিয়ার ইয়েসু বন্দরে অপরিশোধিত পণ্য পরিবহনের জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোভকমফ্লট (এসসিএফ) এর বরফ-শ্রেণীর জাহাজের উপর নির্ভর করে এবং সেখান থেকে ভারতীয় কোম্পানি বেশিরভাগ উত্তর এশিয়ায় ক্রেতাদের কাছে তা রপ্তানি করে থাকে।