রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আলোচনার জন্য সম্ভাব্য তারিখ ও ভেন্যু ঠিক করা নিয়ে ক্রেমলিনের সঙ্গে কথা বলছে কিয়েভ। জেলেনস্কির মুখপাত্রের বরাতে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে মস্কো বলেছিল, আলোচনার ব্যাপারে প্রাথমিক সম্মতি জানিয়ে ‘হারিয়ে গেছেন’ ইউক্রেনীয় নেতা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে জেলেনস্কির মুখপাত্র সের্গি নিকিফোরভ বলেন, ‘আমরা আলোচনায় অস্বীকৃতি জানিয়েছি বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। অস্ত্রবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আলোচনায় ইউক্রেন আগেও প্রস্তুত ছিল, এখনো আছে।’ নিকিফোরভ আরও দাবি করেন, আলোচনার তারিখ ও ভেন্যু নির্ধারণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলাপ চলছে।
ইসরায়েলে নিয়োজিত ইউক্রেনের দূত ইউজিন করনিচাক আভাস দিয়েছেন, ক্রেমলিনের সঙ্গে কিয়েভের আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে পারে তেল আবিব। নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি বলেন, ‘তারা (ইসরায়েল) না বলেনি। তারা বোঝার চেষ্টা করছে যে দাবার বোর্ডে তাদের অবস্থানটা কোথায়। আমরা বিশ্বাস করি, এ বিশ্বে ইসরায়েলই একমাত্র গণতান্ত্রিক দেশ, যার সঙ্গে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশেরই দারুণ সম্পর্ক রয়েছে।’
জেলেনস্কির মুখপাত্র সের্গি নিকিফোরভের বিবৃতি প্রকাশের কিছু সময় আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র মারিয়া জাখারভ দাবি করেছিলেন, গতকাল শুক্রবার কিয়েভ আলোচনায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আলোচনার ইস্যুটি আজ পর্যন্ত স্থগিত রাখতে চেয়েছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাস্তায় রাস্তায় লড়াই শুরু হয়েছে। শহরটির স্থানীয় সরকারের বিবৃতির বরাতে ইউক্রেনের বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এ তথ্য জানিয়েছে। আজ বিবিসির প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ একটি বিবৃতি দিয়েছে কিয়েভ সরকার। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ মুহূর্তে আমাদের শহরের বিভিন্ন রাস্তায় লড়াই চলছে।’ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং জানালা ও ব্যালকনির কাছে না আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।